ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

আপদ আবুল বিদায় করেন আগে!

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১১
আপদ আবুল বিদায় করেন আগে!

অতঃপর উইকিলিকস-বোমায় ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ! সারা দুনিয়ায় হৈচৈ ফেলা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ওয়েবসাইটটিতে এর আগেও বাংলাদেশ নিয়ে নানান নথি প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু গত ৩০ আগস্ট প্রকাশ করা নথিগুলো যেন বোমার শব্দে কাঁপিয়েছে বাংলাদেশ! নিজের দুর্নীতিবাজ সরকারকে ক্ষমতায় ধরে রাখতে যেনতেন করে আবার একটি একদলীয় নির্বাচন করে ফেলতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া! আর শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন বিএনপির চেয়ে ভালো সেনাবাহিনী! যারা কিনা তাঁকেও জেলে পুরেছে! দুর্নীতির মামলা দিয়ে তাঁকেও পাঠাতে চেয়েছে নির্বাসনে!
 
কিন্তু এবারের উইকিলিকস বোমাগুচ্ছের সবচেয়ে †gvÿg বোমশেলটি শেখ হাসিনার কেবিনেট কলিগ যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে নিয়ে।

যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা নিয়ে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসেছে, সেখানে উইকিলিকসে বলা হয়েছে মন্ত্রী আবুলের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র নয়। এমন তথ্যই ওয়াশিংটনকে পাঠিয়েছেন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মারিয়ার্টি। দেশের মানুষের স্বাভাবিক হাঁটাচলার অবস্থা নেই, মহাসড়ক জুড়ে পুকুরের মতো গর্ত সব, আর মারিয়ার্টির ভাষার ‘লেস অনেস্ট’ মন্ত্রী আবুল শুধু  শুনিয়ে গেছেন উড়াল পথ-পাতাল পথের এই গল্প-সেই গল্প!

এরপরের খবর আদরের আবুলকে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে কানাডায়! পদ্মা সেতুর টেন্ডার দুর্নীতির তদন্ত! বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী কানাডার আদালত এর আগে বিএনপির দুর্নীতিবাজ চিহ্নিত প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে ঘুষ দেবার অপরাধে বিশাল জরিমানা করেছে নাইকো কোম্পানিকে। খালেদা জিয়ার ছেলে কোকোকে ঘুষ দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে মার্কিন কোম্পানি সিমেন্স। বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ পাইয়ে দিতে নির্মাণ ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে ঘুষ নেবার অপরাধে বিচারের সম্মুখিন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে আর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 দুই ঘুষের টাকার কিয়দংশ সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে জব্দ থাকার কারণে হাতেনাতে ধরা থেকে মাফ-পার পাবারও সুযোগ নেই। এমন এক সময়ে সবাই যাকে ব্যর্থ-অকর্মা দুর্নীতিবাজ বলছে, উইকিলিকসের তথ্যবোমা আর কানাডার তদন্তের খবরের পরও তাকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা হবে কী? জনকন্ঠের রিপোর্টে বলা হয়েছে, উইকিলিকসের নথি প্রকাশের পর বিশেষ একটি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে শেখ হাসিনার কিচেন কেবিনেটে! স্বয়ং শেখ হাসিনাও নাকি এখন এই আবুল মন্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ! খবরটি সত্যি হয়ে থাকলে বিষফোঁড়া অস্ত্রোপচার-অপসারণের কাজটি যত তাড়াতাড়ি হবে তা সরকার-দেশের জন্য মঙ্গল। কারণ এর মাঝে পানি যা ঘোলা করা হয়েছে তা পরিবেশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগকে অন্ধভাবে ভালোবাসেন এমন একদল লোক অনেক জোরাজুরির আতর-সুগন্ধি স্প্রেতে বহুত মেহনত করেও খুশবু ছড়াতে পারছেন না।

এই অকর্মা অপদার্থ আবুল মন্ত্রীকে নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্টে আলোচনা হয়েছে। সারা দেশের এলাকার এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থায় উদ্বিগ্ন-শংকিত সরকারদলীয় এমপিরা আলোচনা করেছেন। কারণ এলাকার মানুষজন নিয়ে তাঁরা ভোটে পাশ করে এসেছেন। নেক্সট ইলেকশনে ভোটের জন্য এলাকার এসব মানুষজনের কাছেই তাদের ফেরত যেতে হবে বলে উদ্বিগ্ন এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পার্লামেন্টকে জানিয়েও প্রতিকার পাননি।

এরপর সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কের দূরাবস্থা পৌঁছে গেল চরমে, যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানিকগঞ্জে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দিলেন তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন; দেশজুড়ে মানুষের ক্রন্দন-ক্ষোভের ঘটলো বিস্ফোরণ। সড়ক পরিস্থিতি নিয়ে যখন আলোচনা হলো সংসদে, ক্ষুদ্ধ এমপিরা অপসারণ চাইলেন ব্যর্থ-অকর্মা যোগাযোগমন্ত্রীর। দলের সিনিয়র এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বললেন, সড়ক মেরামত-রক্ষণাবেক্ষণের টাকাকড়ি রোডস অ্যান্ড হাইওয়েজে ভাগাভাগি-দুর্নীতি হয়। দেশের মোটামুটি খোঁজখবর রাখা সব মানুষই অবশ্য এসব মুখস্ত জানে। কিন্তু এরপরও শুনলেন না সংসদনেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা!

 উল্টো তোফায়েল আহমদ সহ যারা সেই আলোচনায় ছিলেন, নাম না উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরির গুরুতর অভিযোগ করে বসলেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম! ব্যাস! এক দাওয়াইতেই কিল্লা ফতে! শেখ হাসিনার হত্যার ক্ষেত্র সৃষ্টির অভিযোগ মাথায় নিয়ে কী আর কথা বলতে পারেন ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানের নেতা তোফায়েল আহমদ ? না দলের সিনিয়র নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত?  এই বয়সে তাঁদের আর কী সে সব মানায়? কিন্তু এভাবে দলের নেতাদের মুখ বন্ধ করা গেলেও দেশের মানুষের মুখ কী বন্ধ করা গেছে?

দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলো জরুরি মেরামতের কাজ যেখানে আড়াই-তিন বছরে করা হয়নি বা করা যায়নি, ঈদের আগে জরুরি মেরামতের নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের আরও ৬৯০ কোটি টাকা ছাড়-খরচের ব্যবস্থা করতে হয়েছে কেন? এতসব কিছুর  পরও কোন সাহসে বা খুঁটির জোর দেখাতে আবুল মন্ত্রী দলের সিনিয়র নেতাদের হুমকি দিয়ে বলতে পেরেছেন, তাকে যারা ধাক্কা দিতে চেয়েছে তাদের পরিণতি ভালো হবে না? ওই নেতাদের কারও নাম কী তাঁর মতো কোনদিন উইকিলিকসের নথি বা কানাডার তদন্তে উঠেছে?

এবার পদচ্যুতির দাবি ওঠার আগে কী একবারও কোথাও রাস্তাঘাটের অবস্থা কোনদিন দেখতে বেরিয়েছিলেন? এবার মন্ত্রিত্ব নিয়েতো কী কী উপায়ে সরকারি চেম্বার সাজানো যায় তা নিয়ে নানান খবরের জন্ম দিয়েছেন আবুল হোসেন।
 
 উড়ালপথ-পাতাল পথের সম্পূর্ণ রঙ্গিন সব গল্প বলেছেন! কিন্তু দেশের আমজনতার সারা দিনরাত্রি ব্যবহার করার রাস্তাঘাটের অবস্থা জানার-দেখার চেষ্টা করেননি। এখন উইকিলিকসের নথির মাধ্যমে যে গোমরফাঁক হলো, এর শানে নজুল হচ্ছে  ব্যবসায়ী আবুল হোসেন আসলে চীনা কোম্পানির এজেন্ট হিসাবে ঢুকেছিলেন মন্ত্রিসভায়! তাঁর নেতৃত্বে করা নানান টেন্ডার নিয়ে যেসব কাহিনী নথিতে এসেছে, এখন সংবাদ সম্মেলনে যত ব্যাখ্যাই দিচ্ছেন,  তা কী তিনি তার কেবিনেট কলিগ বা দেশের মানুষের সঙ্গে কখনো কোথাও শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন? টাকা দেবে জাপানি জাইকা আর কাজ-ব্যবসা করবেন চীনের সঙ্গে?  

এখন এসব গোমরফাঁকের পর পদ্মা সেতুর অবস্থা কী দাঁড়াবে? দেশের মানুষের স্বপ্নের এক সেতু এই পদ্মা সেতু । মনে করা হয়, আগামীতে আবার আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা না আসা এই সেতুর উপর অনেকখানি নির্ভরশীল! কিন্তু উইকিলিকস এর নথি আর কানাডার তদন্তে স্বপ্নের সেতু বিতর্কটি এখন যে অবস্থা নেবে? স্বপ্নের সেতুটি এ সরকারের মেয়াদ সীমার মধ্যে আর শেষ করা সম্ভব কী? পুরো সরকার আর দেশের মান-ইজ্জত, চামড়া বাঁচাতে এখন কী শুধু মন্ত্রী আবুলের অপসারণই যথেষ্ট?  এসবে যদি দেরি করা হয় তাহলে দেশে-বিদেশে কী কী প্রতিক্রয়া হতে পারে, সে কথায় একটু পরে আসছি।

এ ধরনের একজনকে বাঁচাতে দেশের কিছু সম্মানিত ব্যক্তিকে কী রকম হেনস্থাটাই না করা হল! দেশের সব সড়ক-মহাসড়ক মৃত্যুউপত্যকা হয়ে ওঠায় ব্যর্থ-অযোগ্য আবুল মন্ত্রীর পদচ্যুতি সহ ৭ দফা দাবিতে শহীদমিনারে গিয়ে প্রতিবাদী ঈদ করেছেন সৈয়দ আবুল মকসুদের নেতৃত্বে নাগরিকদের একটি অংশ। এর অপরাধে দেশের অজাতশত্রু কলামিস্টদের একজন সৈয়দ মকসুদকে ব্যক্তিগত আক্রমণের মাধ্যমে যা খুশি মুখে এসেছে তাই বলা হয়েছে!

বাংলাদেশের সবার শ্রদ্ধার শহীদ পরিবারগুলোর প্রতিনিধি শহীদ মুনীর চৌধুরীর ছেলে, নিহত মিশুক মুনীরের ভাই আশিক মুনীর, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, দেশের বরেণ্য কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ, সেলিম রেজা নিউটন সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জাদুকর জুয়েল আইচ, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, বাংলার গান গাওয়া মাসুদুজ্জামান বাবু, কৃষ্ণকলি সহ বরেণ্য সাংবাদিক, ছাত্র-জনতা সহ নানা শ্রেণীপেশার লোকজন প্রতিবাদে অংশ নেন।

 মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হওয়াতে এদের অনেকের গায়ে আবার আওয়ামী লীগের লেবেল-সীলমোহরও দেয়া আছে। কিন্তু দেশের মানুষের উদ্বেগের পক্ষে অবস্থান নেয়াতে একদল অন্ধ তাদের  ক্রেডিবিলেটি নিয়েও যা খুশি মন্তব্য করতেও কসুর করেননি। ৭ দফা এড়িয়ে ডিম আগে না মুরগি আগে বিতর্কের মতো জুড়ে দেয়া হয়েছে শহীদমিনারের পবিত্রতা রক্ষা হয়েছে কিনা, জুতো নিয়ে সেখানে উঠেছে কিনা এসব বিতর্ক। সরকার আর রাষ্ট্রক্ষমতার চোখে দুর্বল উপহাসের পাত্র চিহ্নিত এই মঞ্চ থেকে যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে দেয়া হয়েছে সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান ধর্মঘট, আমরণ অনশনের মতো নিরীহ অহিংস কর্মসূচি!

মেসি আর মনমোহন সিং এর সফরের সময়ে সরকারকে বিব্রত করতে তাঁরা ঈদের পরপর তাৎক্ষণিক কোনও কর্মসূচি দেননি। অবস্থান কর্মসূচিতে যাতে যানজট না হয় সে কারণে ঢাকার কর্মসূচির স্থান ঠিক করা হয়েছে মানিক মিয়া এভিনিউ।

কিন্তু নিজেদের শুভাকাঙ্ক্ষী লোকজনের এমন প্রাণের প্রতিবাদ দেখেও সরকারি সায় মেলেনি! উল্টো অকর্মা-অপদার্থ বলে চিহ্নিত যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! ঈদের আগেই তিনি বলে দিলেন কারও কথায় তিনি এই মন্ত্রীদের সরাবেন না। তারা ভালো কাজ করছে, ইত্যাদি। ঈদের দিন বললেন, শহীদ মিনারে যারা ঈদ করেছে তারা ঈদে বাড়ি যাননি। তাই তারা রাস্তাঘাটের প্রকৃত অবস্থা জানেন না!
 
তা সাদা কাপড় পরে গান্ধী বা আন্না হাজারে হতে চাইছেন বলে সরকারি অভিযোগের লক্ষ্যবস্তু সৈয়দ মকসুদ সরকারি লোকজনের হিসাবে খুব খারাপ একজন মানুষ হয়ে থাকলে সেলিনা হোসেনরা কী? মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জুয়েল আইচরাও ঈদের দিন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ-উৎসব বাদ দিয়ে শহীদ মিনারে গেছেন। এই ব্যক্তিদের সবাই কী কান্ডজ্ঞানহীন যে দেশের অবস্থা না জেনে শহীদ মিনারে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চলে গেছেন।

এখনও কী দেশের, মানুষের চোখে অকর্মা-অপদার্থ আর উইকিলিকসের নথিতে দুর্নীতিবাজ বলে চিহ্নিত আবুল মন্ত্রীকে শুধু অপসারণ করাই যথেষ্ট কী? বা এখন যদি এই দুর্নীতির তারকাচিহ্নিত আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভায় ধরে রাখা হয় তাহলে তারেকসহ বিএনপির দুর্নীতিবাজদের বিচারের নৈতিক অবস্থান কী অটুট থাকবে সরকারের? এখন তাঁর পদচ্যুতির দাবিতে অবস্থান বা অনশন কর্মসূচিও জায়গা পাবে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়।

 ‘বাংলাদেশের আবুল মন্ত্রীর বরখাস্তের দাবিতে অনশন কর্মসূচি, যার দূর্নীতির নথি প্রকাশ করেছে উইকিলিকস”! তাঁকে বরখাস্ত-গ্রেফতারের খবরও একই কারণে আন্তর্জাতিক  মিডিয়ার নিউজ হবে। শেষোক্ত খবরের সঙ্গে বাড়বে সরকারের ভাবমূর্তি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরদার হবে সরকারের অবস্থান। আর সেই ‘ইঙ্গিত’, নাটকের মতো সিটিং দিয়ে মিটিং, মিটিং’এ তদন্তের সিদ্ধান্ত, তদন্তের পর ব্যবস্থা, এসব পথে বিষফোঁড়াটি আরও অনেকদিকে ডালপালা ছড়াতে পারে। ফিকে হয়ে যেতে পারে পদ্মা সেতু সহ আরও অনেক কিছুর স্বপ্ন।

আপদ আবুলকে বিদায় নাকি আদর অব্যাহত রাখা--কোনটা করবেন শেখ হাসিনা? সিদ্ধান্ত তাকে নিতে হবে দ্রুত-অতি দ্রুত। সময় বহিয়া যায়!

ফজলুল বারীঃ সিডনিপ্রবাসী সাংবাদিক।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।