সরকারের মধ্যে গণবিরোধী হিসাবে বিশেষ চিহ্নিত নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান আবার নতুন কিছু বয়ান দিয়েছেন। দেশের উদ্বিগ্ন নাগরিকদের কটাক্ষ করে কথা বলেছেন, তারা যেহেতু শিক্ষিত লোক, তাই তারা যাতে গাড়ি চালকের পেশায় আসেন, বিলাতে নাকি ছবি দেখিয়ে চালকদের ড্রাইভিং শেখানো হয় ইত্যাদি।
আর বলেছেন কেউ যাতে চালকদের ঘাতক হিসাবে চিহ্নিত করে দেশের ৩০ লাখ চালক-পরিবহন শ্রমিকদের জনগণের মুখোমুখি দাঁড় না করান। চালক-পরিবহন শ্রমিকরা জনগণের সেবক।
বুধবার ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে এসব বয়ান দেবার সময় তিনি আবার তার পক্ষের স্বাক্ষী হিসাবে সাবেক বিএনপি আমলের সেই বিশেষ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে (আওয়ামী লীগের নেতারা যাকে ‘বেহুদা’ নামে ডাকেন বেশি) নিয়ে আসেন! নাজমুল হুদাও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সরকারের সাম্প্রতিক বিশেষ আলোচিত-সমালোচিত মন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি পাঁচ বছর মন্ত্রী থাকতে শাহজাহান খান তাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। পাঁচ বছরের মধ্যে একদিনও পরিবহন ধর্মঘট ডাকেননি! তাই তিনি শাহজাহান খানকে সহায়তার নিয়ত নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন!
গত কয়েক মাস ধরে শাহজাহান খানের ধারাবাহিক কথাগুলোকে এক জায়গায় আনলে বোঝা যাবে এগুলো কত অসংলগ্ন। তার আচার-ব্যবহারও অসংলগ্ন! কখনো কখনো যে সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া তার প্রমাণ সবশেষ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা সামনাসামনি দেখেছেন।
সাংবাদিকদের সেখানে দাওয়াত করে নিয়ে গিয়েছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। আর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান তাদের সেখান থেকে বের করে দিয়েছেন! এ নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকের শিরোনাম ছিল, ‘ইনভাইটস বাই কমিনিউকেশন, এক্সপেলস বাই রিভার ট্রান্সপোর্ট’! তার আচরণকে সেখানে আবার সমর্থন দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর প্রতিমন্ত্রী! যারা হয়ত এখনই হিসাব-নিকাশ কষতে জানছেন না যে এসব চেয়ার তাদের চিরদিনের না!
অথচ পরে যোগাযোগমন্ত্রী সেখানে মিডিয়া ব্রিফিং’এ যে কথাগুলো বলেছেন, তাতে স্পষ্ট হয়, সে বৈঠকের সিদ্ধান্তও হয়েছে শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে। পরে যা প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। তাহলো যথাযথ পরীক্ষা ছাড়া কাউকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে না। যে আবদারটি করে আসছিলেন শাহজাহান খান। তার শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের বিনে পরীক্ষায় লাইসেন্স দেবার আবদার! সড়ক দূর্ঘটনায় তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরদের নিহত হবার পরপর শাহজাহান খানের ওই আবদারের খবর বেরুলে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে দেশে। সরকারি দলের এমপি তারানা হালিম ঘোষণা দিয়ে বলেন, যথাযথ পরীক্ষা ছাড়া আর একজন ব্যক্তিকেও যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে তিনি আমরণ অনশন শুরু করবেন।
দেশের বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও এমপি তারানা হালিমের বোনের ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। সড়ক দূর্ঘটনায় স্ত্রীর অপঘাত মৃত্যুর পর থেকে দীর্ঘ দুইযুগের বেশি সময় ধরে কখনও একা কখনও অনেকের সঙ্গে নিরাপদ সড়কের ঝাণ্ডা বয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। দেশের পথঘাট যে আজ মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠেছে সে ভয়-আতংকের শোক তাদের মতো আর কে জানে?
বুধবারের বক্তৃতায় বিলাতের যে উদাহরণ টেনে মন্ত্রী ছবি দেখিয়ে গাড়ি চালনা শেখানোর যে তথ্যটি দিয়েছেন, তাতে দেশ-বিদেশ নিয়ে তাঁর জ্ঞানের ভাণ্ডার সম্পর্কেও লোকজনের খারাপ ধারণা হবে। তিনি ডিজিটাল সরকারের মন্ত্রী। যে কোনও বিষয়ে বক্তৃতা করার আগে একটু অনলাইনে বসে ব্রাউজ-রিসার্চ করলে ভালো হয় না? তাহলেতো অন্তত ‘মন্ত্রী জানেন না’ বা ‘মিথ্যা বলেছেন’ বা ‘ভুল তথ্য দিয়েছেন’, কারও পক্ষে এমনটা বলা সম্ভব হয় না। বিলাত-অস্ট্রেলিয়া বা অন্য যে কোন পশ্চিমা রাষ্ট্রের ড্রাইভিং বা যে কোনও তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে অস্ট্রেয়ার নিয়মকানুন সবার সঙ্গে একটু শেয়ার করতে চাইছি। সড়ক নিরাপত্তা-রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে এদেশের সরকার আর আইনকানুন এত বেশি কড়াকড়ির মধ্যে চলে যে সে কারণে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার ড্রাইভিং লাইসেন্সের চাইতে নাগরিকত্ব পাওয়া অনেক সহজ! ছবি দেখিয়ে গাড়ি চালনা শেখানোর যে কথাটি শাহজাহান খান বলেছেন সেটি লারনার লাইসেন্স পাবার আগের তথ্য। যদিও তিনি যেন বলার চেষ্টা করেছেন, বিলাতে যারা গাড়ি চালায় তারাও এত অক্ষর জ্ঞানহীন যে তাদের ছবি দেখিয়ে শেখাতে হয় ড্রাইভিং!
অস্ট্রেলিয়ায় যে কেউ ড্রাইভিং শিখতে রাস্তায় যাবার আগে তাকে কম্পিউটারে বসে আগে লারনার প্র্যাকটিস করতে হয়। সড়ক ব্যাবস্থাপনার নির্দিষ্ট ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে ওই প্র্যাকটিসের সময় ছবি আর তথ্যের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে শেখানো হয় নিরাপদ ড্রাইভিং’এর আইনকানুন। এই লারনার প্র্যাকটিসে কারও কারও একমাসেরও বেশি সময় লেগে যায়। চালক হিসাবে নিজের নিরাপত্তা, অপরাপর চালক ও যানবাহন, পথচারীদের নিরাপত্তা, ট্রাফিক আইন-সিগনাল, শারীরিক কোন অবস্থায় একজন গাড়ি চালানোর উপযুক্ত-অনুপযুক্ত, দুর্ঘটনায় পড়লে করণীয়সহ সমুদয় বিষয় শেখানো হয় একজন লারনারকে।
এরপর আবার সংশ্লিষ্ট লারনারকে নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে অগ্রিম বুকিং নিয়ে নির্দিষ্ট সরকারি কেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অনলাইনে দিতে হয় লারনার টেস্ট। সেই টেস্টে পাশ করলে যে লারনার লাইসেন্স দেওয়া হয় সেটি নিয়ে একজন রাস্তায় প্র্যাকটিসে যেতে পারেন। একজন লারনার ড্রাইভার গাড়ি চালানো শেখার সময় তার সঙ্গে অবশ্যই লাইসেন্সধারী কোয়ালিফায়েড প্রশিক্ষক অথবা ফুল লাইসেন্সধারী একজন সহযোগী পাশের আসনে বসা থাকতে হবে। গাড়ির সামনে দৃশ্যমান লাগানো থাকতে হবে পিছনে হলুদ জমিনের ওপর কালো হরফের ‘এল’ স্টিকার।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন অবশ্য কাউকে সরাসরি ফুল লাইসেন্স দেওয়া হয় না। ড্রাইভিং টেস্টে পাশ করলে প্রথমে এক বছরের জন্য প্রভিশনাল রেড পি লাইসেন্স দেওয়া হয়। একবছর পর অনলাইনে হ্যাজারড ম্যানেজমেন্ট টেস্টে পাশ করলে দুই বছরের জন্য দেয়া গ্রিন পি লাইসেন্স। এভাবে তিন বছর গাড়ি চালনার পর আবার অনলাইন পরীক্ষায় পাশ সাপেক্ষে একজন ফুল লাইসেন্স পান। ফুল লাইসেন্সধারী ছাড়া কেউ এদেশে ট্যাক্সি, বাস বা কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালকের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন না।
এদেশে যেহেতু লোকজনের আরেকজনকে দেবার মতো বাড়তি সময় বিশেষ নেই তাই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে একজন লাইসেন্সধারী কোয়ালিফায়েড প্রশিক্ষকের অধীনেই গাড়ি চালানো শিখতে হয়। ড্রাইভিং শেখার এই বিষয়টি খুবই ব্যয়বহুল এদেশে।
বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে জরিমানা থেকে শুরু করে যার কোনও ধরনের ড্রাইভিং অফেন্স নেই, এমন একজন ব্যক্তিই অস্ট্রেলিয়ায় ড্রাইভিং প্রশিক্ষক হবার কোয়ালিফাইং পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। এরপর এমন কোয়ালিফাইড ব্যক্তিকে সরকার অনুমোদিত ফি পরিশোধ করে নিজস্ব ড্রাইভিং স্বুলের বিপরীতে লাইসেন্স নিতে হয়।
ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে এখানে একজনের কতদিন লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। প্র্যাকটিসে ঘন্টায় ৩৫-৫০ ডলার দিতে হয় প্রশিক্ষককে। এরপর যখন একজন শিক্ষার্থী এদেশের রাষ্ট্রীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আরটিএ`র পরীক্ষকের অধীনে রাস্তায় পরীক্ষা দিতে যান, ট্রাফিক আর ড্রাইভিং আইন বিরোধী সামান্য সমস্যা পাওয়া গেলেই ফেল! গাড়ি চালানোর সময় রাস্তায় আঁকা লেনে চাকা লাগলেই ফেল!
রাউন্ড এবাউটে ঢুকতে ডানে না তাকালে, স্টপ সাইন দেখে না থামলেই ফেল। গলির রাস্তা থেকে ডানেপাশের ইন্ডিকেটর দিয়ে মহাসড়কে ওঠার কায়দা, ব্যস্ত মহাসড়কে লেন চেঞ্জিং, পার্কিংসহ সবকিছুতে এরা একজন চালককে ১০০% নিখুঁত দেখতে চায়। এর কারণে একবার পরীক্ষা দিয়ে ড্রাইভিং পাশ করেছেন এমন লোকজন এদেশে হাতে গোনা যাবে।
এতো গেল প্রাইভেট কারের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার বিষয়। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট তথা বাস-ট্রাকের চালকের লাইসেন্স পাবার বিষয়টি এদেশে আরও কঠিন। কারণ পথের অনেক মানুষের জীবনের নিরাপত্তা তাদের হাতে। বাস-ট্রাক চালকদের বেতন মজুরিও এদেশে অনেক বেশি। তাদের নিজস্ব বাড়ি-ঘর-গাড়ি এর সবই খুব দামি। এরা পড়াশুনা না জানা বা নিরক্ষর তা ভাবারও কারণ নেই। বিলাত-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ট্যাক্সি-বাস তথা প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট যারা চালান তাদের সিংহভাগ বাংলাদেশ-ভারতসহ দুনিয়ার নানাদেশ থেকে স্কিল্ড মাইগ্রেশনে যাওয়া অভিবাসী লোকজন। স্কিলড মাইগ্রেশনে কারা এসব দেশে যেতে পারে, আইএলটিএস স্কোর কত লাগে সে ধারণা কী আছে আমাদের ডিজিটাল সরকারের এ মন্ত্রীর?
বাংলাদেশের বাস্তবতায় যেখানে দেশের শিক্ষিত প্রজন্ম যেহেতু গাড়ি চালকের পেশায় আসেন না তাই যারা আসেন তাদেরকেই ঘষামজা করে আধুনিক সময়ের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। এর জন্যে এ পেশায় যারা আসবেন শুধু তারা না রাস্তায় যারা গাড়ি চালাবেন তাদের সবার প্রশিক্ষণ নিখুঁত হওয়া চাই। একজন পথচারী বা রাস্তায় যিনি সাইকেল চালাবেন তাদেরও ট্রাফিক আইনকানুন সঠিক শিখতে হবে।
সবাইকে সবার আগে শেখাতে হবে পথ ব্যবহারে নিজস্ব নিরাপত্তা। এর সঙ্গে পথ-সড়ক ব্যবহারকারী সবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এসব বিষয়ে জনমত সংগঠনে ওয়ার্কশপসহ নানাকিছুতে সরকার দেশের মিডিয়া-এনজিওগুলোকেও কাজে লাগাতে পারে। শাহজাহান খানদের মতো মন্ত্রীসহ দায়িত্বশীলদের আইন কানুনের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল-প্র্যাকটিসিং করতে হবে সবার আগে। মন্ত্রীরাই যদি বেআইনি যা খুশি বকর বকর করেন, তাহলে পাবলিককে সারাদিন জ্ঞান বিতরণ করেও কোনও লাভ হবে না।
শাহজাহান খান দেশের পরিবহনখাতের ৩০ লাখ লোককে মুখোমুখি দাঁড় না করাতে বলেছেন। এই ৩০ লাখ লোক আমাদের সমাজেরই অংশ। তাদেরকেতো আর চাইলেই দেশের মানুষের মুখোমুখি দাঁড় করনো সম্ভব না। তা উচিতও না বা তা কেউ বলেওনি। কতিপয় বিশেষ কাদের কাদের কারণে ওই ৩০ লাখের ক্রেডিবিলেটি আজ প্রশ্নের মুখে তা তিনি তাদের নেতা হয়ে থাকলে.. তাকেই খুঁজে বের করতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতিযুক্ত একটি ব্যবস্থার কারণে এদের বেশিরভাগ কিভাবে চালক হয়ে গেছেন তাদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের, যাত্রীদের সঙ্গে দায়িত্বশীল মানবিক আচরণ করাতে শেখাতে হবে। গাড়ি তারাই চালাবে। কিন্তু মানুষকে জিম্মি করে নয়। বা এই চালকদের সবাই মানুষকে সারাদিন জিম্মি করেনও না। কলকাতাগামী বা ঢাকা থেকে দূরপাল্লার নানা রূটের অনেক বিলাসবহুল বাস সার্ভিস নিয়েতো সব মানুষের এত অভিযোগ নেই। বরং সেগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক যাত্রী হারিয়েছে রেলওয়ে। এসবের বাইরে সারাদেশের মানুষ একশ্রেণীর পরিবহন শ্রমিক নামধারীর স্বেচ্ছাচারিতা-গুন্ডামির কাছে জিম্মি তা শাহজাহান খানরা না জানতে পারেন। কারণ তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ছাড়া এ নিয়েই তাদের কোনও নৈমিত্তিক অভিজ্ঞতা নেই। এসব গাড়ি তারা চড়েনও না,ব্যবহারও করেন না।
কাজেই দেশের পরিবহন খাতের নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে আনতে মন্ত্রীদের এ রকম ‘প্রধানমন্ত্রীর ড্রাইভারও ফাইভ পাশ’ জাতীয় ফাউলটকও বন্ধ করতে হবে আগে। বর্তমান গাড়িচালক তথা পরিবহন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ-ঘষামাজার মাধ্যমে তাদের ও পথের সবার জীবনকে নিরাপদ কীভাবে করা যায় সেটিও করতে হবে আগে।
শাহজাহান খান নিজে গাড়ি চালান কিনা, তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা, জানি না। অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব মন্ত্রী-এমপি নিজেদের গাড়ি নিজেরা চালান। কারণ ড্রাইভার পোষা এদেশে খুব ব্যয়বহুল। অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী-এমপিরা বাংলাদেশের মন্ত্রী এমপিদের মতো এত ধনীও না। শাহজাহান খানদের ট্যাক্স দেওয়া না লাগলেও এদের ট্যাক্স দেওয়া লাগে।
তা দেশের পথকে সবার কাছে নিরাপদ করে তুলতে নিজেকে আইনানুগ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাড়ি চালকের মডেল হিসাবে তৈরির উদ্যোগ মন্ত্রীকেই নিতে হবে। দেশের বুদ্ধিজীবী কলামিস্টদের তিনি যেহেতু গাড়ি চালকের পেশায় আসতে বলেছেন, তিনি যেহেতু পরিবহন শ্রমিকদের নেতা, আগামীতেও তা থাকতে চান সেহেতু উদ্যোগটি তিনি নিলেই বুঝি বৈপ্লবিক হবে, কী বলেন!
ফজলুল বারীঃ সিডনিপ্রবাসী সাংবাদিক।
বাংলাদেশ সময় ১৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১১