ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন হয় ২৩৩টি আসন। নির্বাচনে আবেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলো টোকিও সিটির প্রথম নারী গভর্নর ইউরিকো কোইকে’র নেতৃত্বাধীন আলোচিত নতুন দল কিবো নো তো (পার্টি অব হোপ)।
জাপানের সংসদের নিম্নকক্ষে ৪৬৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর মধ্যে ২৮৯ জন আইনপ্রণেতা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হচ্ছে। বাকি ১৭৬ জন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হচ্ছে। ক্ষমতায় যেতে হলে অন্তত পক্ষে ২৩৩টি আসন পেতে হয়। জাতীয় এই নির্বাচনে প্রধানত তিন জোটবদ্ধ দল প্রতিযোগিতা করে।
শিনজো আবের বিজয়ের ফলে ভোটের আগে বিভিন্ন জনমত জরিপের রিপোর্টই সত্যি প্রমাণিত হলো। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভোটের আগে দিনের জনমত জরিপেও শিনজো আবের দল এগিয়ে রয়েছে বলে দেশটির প্রধান গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিলো। এসব জনমত জরিপে শিনজো আবের দল তিনশতাধিক আসন পাবে বলে আভাস দিয়েছিলো।
তবে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন আলোচিত নারী প্রার্থী ইউরিকো কোইকে।
এদিকে ৭ দিন ধরে টানা বৃষ্টি আর টাইফুনের মধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ভোটাররা। এবারের নির্বাচনে উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকি মোকাবিলা ও ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব অলিম্পিক আসর ও দ্রব্যমূল্যের ট্যাক্স বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু বিষয় মূল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাপানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে শিনজো আবে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেন। নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই এবং উত্তর কোরিয়া নিয়ে বিদ্যমান সংকটে জনমত জানতে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই সাধারণ নির্বাচন দিলেন শিনজো আবে। এর আগে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শিনজো আবে।
মাহবুব মাসুম: প্রবাসী সাংবাদিক, masum86cu@yahoo.com
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
জেডএম/