আমাদের আবুল হোসেন!! জি আমি আমাদের সদ্য সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জনাব সৈয়দ আবুল হোসেন-এর কথাই বলছি, যিনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাহাড় সমান অভিযোগ থাকার পরও নিজের চেয়ার থেকে এক চুলও সরেননি। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘সাকো ইন্টারন্যাশনাল’-এর বিরুদ্ধে পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সরাসির দুনীতির অভিযোগ থাকার পরও মন্ত্রিপরিষদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়নি।
দেরিতে হলেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সদ্য উনার মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করা হয়। দেশের জনগণ ভাবল এইবার মনে হয় দেশ কিছুটা হলেও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের কয়েকটা জাতীয় দৈনিক পড়ে সে আশা গুড়েবালি।
আমাদের আবুল সাহেবের তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নাকি বিটিআরসি নেওয়া হচ্ছে। আর যদি তাই হয়, তাহলে তো পুকুর চুরিরোধে সাগর চুরির সুযোগ করে দেওয়া হবে। বিটিআরসি দেশের গুরুত্বপূণ একটি সংস্থা। এই সংস্থার আওতায় রয়েছে দেশের সব কটি মুঠোফোন কোম্পানিসহ টেলিযোগাযোগ-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রতিষ্ঠান। সরকার বিপুল রাজস্ব এ খাত থেকে পায় এবং এসব প্রতিষ্ঠানে বিপুল অর্থ প্রতিবছর বিনিয়োগ হয়।
আর এ অবস্থা থেকে উপলব্ধি করা যায়, আবুল সাহেবের মন্ত্রিত্ব যেমন কই মাছের প্রাণ, ক্ষমতাও তেমনি কলাগাছ, যতই কাটবেন এটা আরো বাড়বে।
আইম সজীব : স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশি
azhar_sajib@yahoo.com
বাংলাদেশ সময় : ১৬১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১১