ঢাকা: ‘জল্লাদ বা কসাই হিসেবেই ছিল তার পরিচিতি। আলাদ্দি গ্রামে তার উপস্থিতিতে অন্তত ৩৪৪ জন লোককে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনীত অভিযোগের বিষয়ে এভাবেই সাংবাদিকদের কাছে উপরোক্ত উক্তি করেন প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ আলী বলেন, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সহস্রাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ঢাকার মিরপুরে জল্লাদ ও কসাই হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মিরপুর, রায়ের বাজার, কেরাণীগঞ্জ, সাভারসহ ঢাকার বিভিন্নস্থানে নৃশংসতা চালিয়েছেন।
২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে তিনি বিহারী ও অবাঙালিদের সঙ্গে নিয়ে বাঙালিদের নিধনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে মিরপুর ও মোহাম্মদপুর ছিলো তারা নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা, জানান অ্যাডভোকেট আলী।
তিনি বলেন, মিরপুর ছাড়াও শিয়ালবাড়ী ও রুপনগরে অনেক মানুষকে তার প্রত্যক্ষ মদদে মাটি চাপা দেওয়া হয়। সে সময় কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা করে কাদের মোল্লা।
এছাড়া খন্দকার আব্দুর রউফকে মিরপুর ১০ নং থেকে ধরে নিয়ে জল্লাদ খানায় হত্যা করা হয়েছে তার নেতৃত্বে।
কাদের মোল্লা রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে কেরানীগঞ্জের শহীদনগরে অনেক নৃশংসতা চালিয়েছেন। আর তাকে সহায়তা করেছেন তৎকালীন ছাত্র নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।
মোহাম্মদ আলী বলেন, তার বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্টভাবে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে। আইনগত কারণে বিষয়গুলো এখনই প্রকাশ করতে পারছি না।
মিরপুরের আলাদ্দি গ্রামে নির্বিচারে অন্তত ৩৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে আমরা ২১ জনের নাম নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এসব হত্যাকাণ্ডে কাদের মোল্লা সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে জানান মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মতো পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান আছে। আপনারা অপেক্ষা করেন সব দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১১