ঢাকা: মতিঝিলে নিহত আরিফুজ্জামান আরিফ স্প্লিন্টারের আঘাতে নিহত হয়েছেন। ময়না তদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. হোসেন মাহমুদ বাংলানিউজকে স্প্লিন্টারের আঘাতে তার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নিহত আরিফের মা ফাতেমা বেগম বলেছেন, আরিফ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলো না। তিনি বলেন, অন্যান্য দিন সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হতো। কিন্তু, রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় বাসা থেকে বের হয়। কিছুদিন আগে আরিফ ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছেন বলে জানান তিনি।
আরিফের বাবা জয়নুল আবেদীনের কাছ থেকে জানা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স করলেও তিনি ভালো ভাবে গাড়ি চালাতে পারতেন না। তাই তিনি ভালো ভাবে গাড়ি চালানো শিখছিলেন। রোববার সকালে তিনি গাড়ি চালানো শিখতে যাওয়ার কথা বলেই বাসা থেকে বের হয়ে যান।
তিনি জানান, চার মাস আগে আরিফ গোড়ান টেম্পু স্ট্যান্ডের পাশে লরেল ক্যাবল নেটওয়ার্কে লাইনম্যানের কাজ করতো। এখন কোনো চাকরি কিংবা আয়-রোজগার করার মতো কোনো কাজ করতেন না।
আরিফ নিহত হওয়ার পর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে করে জানায়, পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। আরিফকে বিএনপি’র কর্মী বলেও দাবি করে বিএনপি।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরিফুজ্জামান আরিফের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। ময়না তদন্ত করেছেন, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. হোসেন মাহমুদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেছেন, স্প্লিন্টারের আঘাতেই আরিফের মৃত্যু হয়েছে।
ডা. হোসেন মাহমুদ বলেন, আরিফের গলা ও বুকের বাম পাশে স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে। বাম হাতের তালুতে পাওয়া গেছে গান পাউডার। স্প্লিন্টারের আঘাতে তার বাম হাতের তালু, থুতনি, ঠোঁট এবং ঘাড়ের মাংস থেতলে গেছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আরিফের দেহের বাইরে এবং ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ডা. হোসেন মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘন্টা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১১