ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

সময়ের প্রতিধ্বনি

নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ

বিশাল এক সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু হলো নতুন বছর, ২০২০। নতুন বছরে কালের কণ্ঠ’র পাঠক, পত্রিকার এজেন্ট, হকার, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই। নতুন বছরটি সবার জন্য বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। শান্তির সুবাতাস বয়ে যাক বিশ্বময়। ধর্মে ধর্মে, জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ, হানাহানি বন্ধ হোক। নিপাত যাক সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, আধিপত্যবাদ ও বর্ণবৈষম্যবাদ।

গেল বছরটি (২০১৯) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নানা ঘটনার কারণে ক্যালেন্ডারের পাতায় ‘রেডমার্ক’ হয়ে থাকবে। কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশে উগ্রপন্থা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উগ্র মতাদর্শের রাজনৈতিক দল ক্ষমতার আসনে বসছে। সংগত কারণেই কট্টরপন্থী ও উদারপন্থীদের দ্বন্দ্ব-সংঘাত চরম রূপ নিয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর ভারতও তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য সংকটে পড়েছে।

নানা অপরাধে অভিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন করার বিষয়টি বছরজুড়েই শিরোনাম হয়েছে। ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যের অস্থিরতার ঢেউ পুরো ইউরোপে তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটেনে একাধিকবার সরকার পতনের ঘটনাও ঘটে।

রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার মামলা এবং ভারতের এনআরসি ইস্যুটি বিস্তর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। আর এসব ইস্যুতে গণমাধ্যম ছিল বেশ সরগরম।  

সারা বিশ্বের মানুষই বড় বেশি অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। ফলে অসন্তোষ, বিরোধ, হানাহানি বেড়েই চলেছে। দুর্বলের ওপর সবলের শোষণ, নিপীড়ন ও চোখরাঙানি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? অসভ্যতার যুগ পেরিয়ে ধীরে ধীরে মানুষ যখন সভ্যতার যুগে অবস্থান করছে তখন কেন এত অসভ্যতা? কেন এত আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা?

আসলে মোড়ল রাষ্ট্রগুলো নিজেরাই অশান্তি সৃষ্টির ভূমিকায় রয়েছে। তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য নগ্নভাবে অনধিকার চর্চা করছে। বড় রাষ্ট্রগুলো ছোট রাষ্ট্রের ওপর সংকট চাপিয়ে দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বড় রাষ্ট্রগুলো ছোট রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরোধ বাধিয়ে দিচ্ছে এবং ইচ্ছা করেই তা জিইয়ে রাখছে। অথচ বড় রাষ্ট্রগুলো চাইলেই ছোটখাটো বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে পারে এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে পারে। কিন্তু বড়রা বড়ই স্বার্থপর, বড়ই হীনম্মন্য। তারা নিজেরটা ষোলো আনা বোঝে, অন্যেরটা এক আনাও নয়।

আমরা বিশ্বের মানচিত্রের দিকে তাকালেই দেখতে পাই, বিশ্বের মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিন নামক রাষ্ট্রটির নাম মুছে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। সেখানে ইসরায়েলিদের দখলদারি ও আধিপত্যবাদের চরম শিকার ফিলিস্তিনিরা। সেখানে নিরীহ মানুষের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা, বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন মৃত্যুর আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে যায় ফিলিস্তিনিরা; আবার আতঙ্কেই তাদের ঘুম ভাঙে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

অথচ মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা এ ক্ষেত্রে নিশ্চুপ। তাদের চোখ বন্ধ। তারা কিছুই যেন দেখতে পায় না। বলতে ইচ্ছা হয়, তোমরা কেন এত মানবাধিকার গেল, মানবাধিকার গেল বলে চিৎকার করো? তোমাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না।

বাংলাদেশ একটি অগ্রসরমাণ রাষ্ট্র; উদীয়মান বাঘ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এই দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে টেনে তুলেছেন একজন দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। পুরো দেশের মানচিত্র তাঁর হাতের মুঠোয়। দেশের কোথায় কী সমস্যা, তা তিনি দেখতে পান। সেই সমস্যাগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা করেন। তাঁর একক সিদ্ধান্তে তৈরি হচ্ছে মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। এর সঙ্গে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।

পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে আরো কিছু মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই এর উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে দেশের প্রবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে ডাবল ডিজিট হবে।

বাংলাদেশের এই উন্নতি-অগ্রগতি সহ্য হচ্ছে না কিছু দেশের। তাই বাংলাদেশকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলমান। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে নানা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কয়েকটি দেশ ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহ করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত পোশাকশিল্পকে ধ্বংস করতে পরিকল্পনা করে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসংক্রান্ত তথ্য সরকারের কাছেও নিশ্চয়ই রয়েছে।  

সরকারে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও বসে নেই। সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে সরকারকে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ পরিস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। শিল্পায়নের গতিও মন্থর। বিদেশি বিনিয়োগ না বাড়াতে পারলে এবং শিল্পায়ন না হলে মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে না।

আমাদের দেশের একটা বড় সংকট কর্মসংস্থান। সরকারি হিসাবেই দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ বেকার রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ শিক্ষিত বেকার। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) সংসদে এক প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সারা দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষিত বেকার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর কাছ থেকেও এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।

দেশে কর্মসংস্থানে ব্যর্থ হয়েই অনেকে ভিটামাটি বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমায়। সেখানেও পদে পদে বিপদে পড়তে হয় তাদের। অবৈধভাবে ইউরোপ-আমেরিকায় ঢোকার জন্য অনেকে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে কঠিন সংকট তৈরি হবে। তা সামাল দিতে সরকারকেই প্রস্তুত হতে হবে।

সরকার নিশ্চয়ই স্বীকার করবে যে ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরে তারল্য সংকটে ভুগছে। মানুষের হাতেও টাকা নেই। বিনিয়োগ পরিস্থিতি আশানুরূপ নয়। প্রতিবছর দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অনেক নব্য ধনী সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে ফ্ল্যাট ক্রয়, সেকেন্ড হোমসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ দেখিয়ে টাকা পাচার করেছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান জিএফআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। শুধু ২০১৫ সালে পাচার হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া আংকটাডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যা ওই বছরের মোট রাজস্ব আদায়ের ৩৬ শতাংশের সমান।

রেমিট্যান্সের সন্তোষজনক প্রবাহের কারণে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট এখনো হয়নি, তবে অর্থপাচার ঠেকাতে না পারলে বিপদ ঘটা অস্বাভাবিক নয়।

এটি ঠিক যে দেশের মানুষ এখন অনেক বেশি কর্মমুখী। হরতাল-অবরোধের মতো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি এখন আর মানুষকে টানে না। একেকজন কর্মক্ষম মানুষ একেকটি পরিবারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আর অনাহারে কোনো মানুষ মারা যায় না। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। দেশে বিগত ১০ বছরে শক্তিশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণি গড়ে উঠেছে। ১০ বছর আগে যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিলুপ্তি ঘটতে যাচ্ছিল, সেটি আবার শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। এর সুফল পাচ্ছে সরকার। এখন আর বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি দাবি আদায়ের ইস্যুতে তাদের টানতে পারছে না। তাই সরকার প্রতিপক্ষকে দলনের নীতি কার্যকর করতে পারছে। এতে হয়তো দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে, তবে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এই নীতি বড় বাধা।

দেশের একটি বড় অংশকে উন্নয়নের গতিধারার বাইরে রেখে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো দুরূহ ব্যাপার। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চাইলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেও সঙ্গে নিতে হবে। একই সঙ্গে দেশের গণমাধ্যমকেও আস্থায় নিতে হবে।

আমরা মুখে বলি, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার কোনো মূল্যায়ন করি না। দেশের স্বার্থেই শক্তিশালী গণমাধ্যম প্রয়োজন। গণমাধ্যমকে দুর্বল রেখে কোনো দেশ এগোতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, রাজনৈতিক দলগুলোই নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরে। দুর্বল করে রাখে। সংগত কারণেই গণমাধ্যম গভীর সংকটের মুখোমুখি। সংবাদপত্রকে শিল্প ঘোষণার পরও নানা রকম ভ্যাট-ট্যাক্সের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।

বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান সাংবাদিক-কর্মী ছাঁটাই করেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস বেতন দিতে পারে না। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে বেতন বকেয়া পড়েছে। এতে সাংবাদিক-কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থার দ্রুত অবসান হওয়া দরকার। তা না হলে অনেক সংবাদপত্র ও টিভি মিডিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। বেকার হয়ে পড়বেন অনেক সাংবাদিক-কর্মী।

আমরা আশা করব, সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে এবং গণমাধ্যমের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। ভ্যাট-ট্যাক্সের খড়্গ বাতিল করার পাশাপাশি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাগজ আমদানির সুযোগ দিতে হবে। সরকারি বিজ্ঞাপনে যে মূল্য নির্ধারণ করা হবে, তা পত্রিকার সার্কুলেশন মোতাবেক বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্র, দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থেই শক্তিশালী গণমাধ্যম দরকার। গণমাধ্যমকে সংকটে রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। আমাদের প্রজ্ঞাসম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম এবং তিনি অচিরেই গণমাধ্যম রক্ষায় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করি।  

লেখক: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কালের কণ্ঠ ও সাহিত্যিক

বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।