বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পর ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ প্রসঙ্গটি ফিরে এলো কানাডার জাতীয় বেতার সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ‘সিবিসি/রেডিও কানাডা’র অনুষ্ঠানে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৪টা ৪৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৬ মিনিট) সিবিসি রেডিও ওয়ান’র ‘উইটনেস’ অনুষ্ঠানে ওই কনসার্টের প্রস্তুতি, উদ্দেশ্য, পরিবেশিত গান ও আয়োজন বিষয়ে ৮ মিনিটের একটি বিশেষ উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়।
এতে কি করে বিশ্বখ্যাত ‘বিটলস্’-এর লিড গিটারবাদক জর্জ হ্যারিসন ভারতীয় সেতারবাদক রবি শঙ্করের আহবানে সাড়া দিয়েছিলেন তা বলা হয়। বলা হয়, সত্তরে সাইক্লোন এবং একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধকালে বাংলাদেশের শরণার্থীদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তা আয়োজন করা হয়।
একাত্তরের ১ আগস্ট নিউ ইয়র্কের মেডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ওই কনসার্টে সমবেত ৪০ হাজার হর্ষোৎফুল্ল দর্শককে জর্জ হ্যারিসনের কন্ঠে ধন্যবাদ জানানো এবং সূচনা পর্বে ভারতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার ঘোষণাটি স্থান পায়। একই সঙ্গে এক সপ্তাহের প্রস্তুতিতে গান লেখা এবং ওই কনসার্টে বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, লিওন রাসেল, ব্যাডফিঙ্গার, বিলি প্রেস্টন ও বিটলস্-এর রিঙ্গো স্টারের অংশগ্রহণে সম্ভবপর হয়েছিল সেই প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরা।
১৯৬৩ সালে বব ডিলানের লেখা গান, ‘এ হার্ড রেইন’স আ-গনা ফল’ আর কনসার্টটির জন্য জর্জ হ্যারিসনের অবিস্মরণীয় গান ‘বাংলাদেশ’-এর ‘মাই ফ্রেন্ড কেম টু মি, উইথ স্যাডনেস ইন হিজ আইজ/ হি টোল্ড মি দ্যাট হি ওয়ান্টেড হেল্প/ বিফোর হিজ কান্ট্রি ডাইজ’ সিবিসি রেডিও’র অনুষ্ঠানে অরিজিন্যাল সাউন্ড ট্র্যাক থেকে পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য, একাত্তরে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ থেকে সংগৃহীত হয়েছিল ২৪৩ হাজার ৪১৮ ডলার ৫০ সেন্টস। পরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই কনসার্টের ট্রিপল এলপি ও সিডি অ্যাপেল রেকর্ডস ছাড়াও ক্যাসেটে বের করে সোনি মিউজিক।
২০০৫ সালে ডবল ডিভিডি সেটে কনসার্টটি বের হয় অ্যাপেল ও রাইনো এন্টারটেইনমেন্টের পরিবেশনায়। গত বছর ‘হর্ন অফ আফ্রিকা’ অঞ্চলের দেশ সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষপীড়িত শিশুদের সাহায্যার্থে এই কনসার্ট অ্যালবাম
‘আইটিউন’ থেকে ইউনিসেফের জন্য সংগৃহীত হয় ১২ লাখ ডলার।
ই-মেইল: bukhari.toronto@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১১