ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

জিআই পাইপ মার্কা ছাত্রলীগ!

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১২
জিআই পাইপ মার্কা ছাত্রলীগ!

আমার ডেক্সটপ পিকচার হিসাবে গত কিছুদিন ধরে জুবায়েরের ছবিটা রাখা। কম্পিউটার খুললেই প্রথম নিহত যুবককে দেখি।

গা কাঁপে! মনে এক ধরনের ক্রোধ-কষ্ট তৈরি হয়। কি উজ্জ্বল সৃষ্টি সুখের উল্লাসী একটা পুরুষোচিত মুখ! খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে তারুণ্যের দীপ্ত ছবি! এমন এক  যুবকেরই কিনা দলীয় সন্ত্রাসের বলি হয়ে অকালে প্রাণ গেছে!

গ্রামের বাড়ির জানাজায় ক্রন্দনরত জুবায়েরের শোকার্ত পিতার মুখটি চোখে ভাসে। আমার প্রয়াত পিতার কথা মনে পড়ে যায়। কত কষ্টে যক্ষের ধন একটি সন্তানকে বড় করেন বাবা-মা। লেখাপড়া শেখান। সন্তানকে ভালো কোথাও ভর্তি করতে পারলে স্বপ্নটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে আরও লম্বা-চওড়া হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের অন্যতম সেরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি বিভাগে পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে এই বাবা-মার স্বপ্নও তেমন আরও লম্বা-চওড়া হয়েছিল।

অনার্স পরীক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছিল। এইতো আর কিছুদিন! কিন্তু হায়, এমন এক ভাগ্যহীন বাবা-মার সে স্বপ্নকে জোর করে ছেঁটে কবরে পাঠিয়ে দিয়েছে শাসক দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নামধারী কিছু ঘাতক-গুণ্ডা। জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তারা তাদেরই দলের একটি ছেলেকে মেরে ফেলেছে!

শিক্ষা শান্তি প্রগতি ছাত্রলীগের মূল নীতি। কিন্তু এটি এখন আছে কিতাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নের কাণ্ডারি সংগঠন ছাত্রলীগ নামধারী ঘাতক-গুণ্ডাদের হাতে এখন কম্পিউটারের বদলে জি আই পাইপ! এটি এখন জিআই পাইপ মার্কা ছাত্রলীগ!

স্বজন হারানোর বেদনায় প্রায়ই কাঁদেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এই বাবা-মার কান্নায় তিনি কেঁদেছেন কিনা জানি না। কাঁদলেতো জুবায়েরের শোকার্ত বাবা-মাকে গণভবনে ডেকে অন্তত কথা বলতেন। একটু শান্তনা দিতেন।

তেমন কিছু ঘটেছে বলে কেউ শোনেনি। আজকাল এমন প্রায়ই হচ্ছে। দলীয় সন্ত্রাসের বলি হয়ে শাসকদলের যে যেখানে প্রাণ হারাচ্ছেন,  দল এসব ভিকটিম পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে না! নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমানের পরিবারের সঙ্গেও এমন নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। লোকমানের পরিবারকেও গণভবনে ডাকেননি প্রধানমন্ত্রী। সরকারের একজন মন্ত্রী বা শাসকদলের কোনো একজন নেতাও পরিবারটির সঙ্গে দেখা করতে যাননি।

সেখানে এখন উল্টো হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা লোকমানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন! কাছাকাছি সময়ে জুবায়েরের পরিবারও তেমন আরেকটি নিষ্ঠুরতার শিকার! আওয়ামী লীগের এ নিষ্ঠুর চেহারাটা কী এ দলটির নেতা-কর্মীদের কাছে পরিচিত? না এটি অচেনা নতুন আরেক আওয়ামী লীগের চেহারা?

জুবায়ের হত্যার পর একখানা বানী দিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক! তাতে তারা বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের দায়দায়িত্ব ছাত্রলীগের না। কারণ, সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। জুবায়ের ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থক কিনা তাও কিন্তু ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বলেননি। বললেতো সঙ্গে অন্তত নিহত জুবায়েরের জন্যে তারা একটু উহ-আহ শোক-দুঃখ প্রকাশ করতেন!

হায়, বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার নামে এমন একটি সংগঠন করলেন জুবায়ের, খুন হবার পরও তার সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পর্যন্ত বললেন না, এ আমাদের জুবায়ের! বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, খুব ভালো একজন কর্মী ছিলেন! বা মনে করা হোক, জুবায়ের একজন সাধারণ ছাত্র। কোনদিন ছাত্রলীগ বা কোনো সংগঠন করেননি। তেমন একজন ভাগ্যহীন সাধারণ ছাত্রের জন্যেও কী  শোক প্রকাশ করতে পারেন না বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক? এটি এখন কি ধরনের ছাত্র সংগঠন? এরা কি ধরনের ছাত্রনেতা? ছি!

অথচ জুবায়ের খুনের পর দেখা গেল খুনিরা ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের কেউ না। সব ছাত্রলীগ নামধারী গুণ্ডা-পাণ্ডা। এ ঘটনায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যে তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তারাও ছাত্রলীগের!

আর ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বলে দিলেন, এর সঙ্গে ছাত্রলীগের দায়দায়িত্ব নেই! কারণ, সেখানে ছাত্রলীগের কমিটি নেই! এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হলো জাবি ক্যাম্পাসে। ঘটনার বিচারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা এমনকি শিক্ষক সমিতিও নেমে এলো রাস্তায়।

ক্রমশঃ প্রকাশ পেল ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক নাই বললেও সেখানে ছাত্রলীগের নামে একাধিক গ্রুপ সক্রিয়। এর একটি ভিসি গ্রুপ। আরেকটি এন্টি ভিসি গ্রুপ। জুবায়েরকে যারা মেরেছে তারা ভিসি গ্রুপের গুণ্ডা। এর আগে হলের মধ্যে জুবায়েরকে পিটিয়ে মারার কথা বলা হলেও এখন গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বেরিয়ে এসেছে হলের মধ্যে লুকিয়ে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কারখানার পিছনে জিআই পাইপ দিয়ে তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। সেখানে ভিসিগ্রুপ  ছাত্রলীগ  নামধারী কিছু গুণ্ডা একেকজন দশ-পনের মিনিট করে ধারাবাহিক মেরে পিটিয়েছে তাদেরই সংগঠনের জুবায়ের নামের এক ছেলেকে! এরপরও সে মরেনি দেখে একটি রিকশা ডেকে তাকে রেখে এসেছে স্থানীয় এনাম হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

আর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক বলে দিলেন, এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক দায়দায়িত্ব নেই! এই ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কী আর কোনোদিন ছাত্রলীগ করতে জাহাঙ্গীরনগরে যাওয়া লাগবে না? না ছাত্রলীগকে বাঁচাতে, তার সরকারের সব অর্জনকে ভণ্ডুল থেকে রক্ষা করতে চাইলে শেখ হাসিনাকে ছাত্রলীগের এই অথর্ব, দায়দায়িত্ব-কর্তব্যহীন নেতৃ্ত্বকে বরখাস্ত করতে হবে আগে?

জুবায়ের খুনের ঘটনার পর দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের প্রশাসনিক দলবাজি-নোংরামির কদর্য রূপটিও বেরিয়ে পড়েছে। একজন ভিসি কী করে ছাত্রলীগ নামধারী একটি গুণ্ডা গ্রুপ পোষেন? এসব জানতেন বলেই কী জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এর দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, পুলিশের। সেখানকার অবস্থা যারা জানেন সেই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীও সে কারনে হত্যাকান্ডের পিছনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার বিষয়টি ইঙ্গিত করেন।

তাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নামধারী ভিসি গ্রুপ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মানে ভিসির জ্ঞাতসারেই ঘটনা ঘটেছে! বিষয়টি আরও খোলাসা হয় শিক্ষক সমিতির বৈঠকে। সেখানে প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়া আক্রমণ করে বসেন শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে! অতএব বুঝুন, দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে মস্তানি-গুণ্ডামি কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে!

এটি কী সেই বিশ্ববিদ্যালয়, এক সময় যেটির উপাচার্য ছিলেন দেশের অন্যতম জ্ঞানতাপস প্রফেসর জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী? সেলিম আল দীন সহ বাংলাদেশের দেশ সেরা অনেক ব্যক্তিত্ব ছিলেন যেখানকার শিক্ষক? অনন্য জীববৈচিত্র্যের জন্য সুবিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টির জঙ্গলের বেয়াড়া জন্তুগুলো উল্টো যে এখন ভিসি-প্রক্টরের অফিস, প্রশাসন, ক্লাস রূমে ঢুকে পড়েছে!

যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ং ভিসির নামে সক্রিয় থাকতে পারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত জিআই পাইপ মার্কা ছাত্রলীগ নামধারী একটি গুণ্ডাবাহিনী! ভিসির ছত্রছায়া থাকায় দিনে-দুপুরে যারা ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিয়ে বেরুনো একজন ছাত্রকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার মতো ধৃষ্টতা-সাহস দেখাতে পারে! এসব নিয়ে শিক্ষক সমিতির বৈঠকে কথা উঠলে সমিতির সভাপতির ওপর হামলে পড়েন প্রক্টর! সমিতির সভা পণ্ড হয়!

এসব দেখে-শুনে মনে হচ্ছে, আসলে জাহাঙ্গীরনগরের পচনটি ধরেছে মগজে। ভিসির মগজে। এর মাঝে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের চাপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধানকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য হয়ে জুবায়ের হত্যার দায়দায়িত্ব আংশিক স্বীকার করে নিয়েছেন সেখানকার ভিসি।

আন্দোলনের মুখে এর মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পুরো দায়দায়িত্ব দিয়ে এই ভিসিকে সেখান থেকে বিদায় না করা পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার নয়। যার ভিসিগিরি করতে এমন ওপেন সিক্রেট ভিসিগ্রুপ ছাত্রলীগ নামধারী একটা গুণ্ডাবাহিনী লাগে তাকে অন্তত চেয়ারে রেখে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পরিবেশ অটুট রাখা সম্ভব না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন

অবশেষে আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথবা শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। বিতর্কিত পাঁচ হাজার টাকার উন্নয়ন ফী তারা ২০০০ টাকা কমাতে রাজি হয়েছে। সরকারের সঙ্গে কথা বলে বাকি ৩ হাজার টাকা পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে মওকুফের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আন্দোলনের এই আংশিক বিজয়ের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রী, বামপন্থী প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দ, আসিফ মহিউদ্দিন সহ সমর্থক ব্লগারবৃন্দ, এ আন্দোলনকে যারা নানাভাবে সমর্থন দিয়েছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন।

এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো ন্যায্য দাবি-দাওয়ার আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। আবারও বলি, এ আন্দোলনের বিজয়ের কৃতিত্বও নিতে পারত ছাত্রলীগ। কারণ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আর সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা পাবেন, এমন একটি ঘোষণা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু ছাত্রলীগ সেখানে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো কর্তৃপক্ষের ভাড়াটে গুণ্ডা হিসাবে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে!

সেখানে আন্দোলনের বিজয়ের দিন ক্যান্টিনে ফাও খাওয়ার মতো ছেঁছড়া দাবিতে মারামারি, ভাঙচুরের খবরের জন্ম দিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু গুণ্ডা!

আওয়ামী লীগ নেতৃ্ত্বকে বলি, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনাদের এই সংগঠনটি নিয়ে একটু ভাবুন, এর একটা গতি করুন। এমন কিসিমের একটি গুণ্ডা সংগঠন সঙ্গে নিয়ে  আপনাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ, আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবি-আন্দোলন, এর একটাও কিন্তু ঠিকমতো জন সম্পৃক্ততা পাবে না। লোকজন এদের নাম শুনলে উল্টো দৌঁড়ায়। আগামীতে আরও বেশি দৌঁড়াবে।

মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-উদ্দেশ্যের কানাকড়িও আর এদের ইমেজের সঙ্গে নেই। এ নিয়ে দেরি করলে কিন্তু ভুগবেন স্বয়ং শেখ হাসিনা। আগামী ভোটে কিন্তু এদের সব অপকীর্তির জবাব একা শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। কারণ, এদের সাংগঠনিক নেতৃ্ত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েও হাসিনা কিন্তু এদের নিয়ন্ত্রণ-সামলাতে পারেননি। উল্টো প্রধানমন্ত্রীকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সারাদেশে গুণ্ডামি, জাহাঙ্গীরনগরে জুবায়ের খুন, সাতক্ষীরার ধর্ষণ থেকে শুরু করে সব অপকর্মই তারা বেশুমার চালিয়ে যাচ্ছে।

এদের রুখুন। এখনই সময়।

ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি ২০১২  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।