ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

ধূর্ত বানর শেয়াল পোষা সরকারের কাজ নয়

পীর হাবিবুর রহমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
ধূর্ত বানর শেয়াল পোষা সরকারের কাজ নয় পীর হাবিবুর রহমান

অবশেষে রোজিনা ইসলামের জামিনে স্বস্তি নেমে এলো। রোজিনা কোনো প্রতিষ্ঠানের নয়, একজন সাহসী জাঁদরেল অনুসন্ধানী সফল রিপোর্টার হিসেবে পাঠকই নয়, সাংবাদিক সমাজের হৃদয়ও জয় করেছিলেন।

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহ চিত্র তিনি দিনের পর দিন তুলে এনেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের সংশোধন ও অনিয়ম থেকে মুক্ত না করে রোজিনাকে শায়েস্তা করতে গিয়ে আরও লেজেগোবরে অবস্থা করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একদল ঔদ্ধত্যপরায়ণ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর বিকৃত চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। তাদের সীমাহীন বাড়াবাড়ি সীমানা অতিক্রম করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গেছে। একদিকে মামলা, আরেকদিকে সচিবালয় বিটের সংবাদকর্মীদের বয়কটের মুখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বক্তব্যের মিল নেই।  

একটা জোর প্রতিবাদের মুখে রোজিনার প্রতিষ্ঠান যে অজুহাত দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিকৃত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে তা কেবল রোজিনার প্রতি যে অপমান-নিপীড়ন হয়েছে তারই বৈধতা দেওয়া হয়নি প্রচণ্ড শক্তিশালী প্রতিবাদকেও অপমান করা হয়েছে। যেভাবে রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে নাজেহাল করা হয়েছে, নিপীড়ন করে থানায় দিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানো হয়েছে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বীভৎস দুর্নীতির চিত্র ঢাকা পড়েনি। সরকারের ইমেজও ক্ষুণ্ন হয়েছে। সব মহলেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি ঠাঁই পাওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথাযথই বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মুখোমুখি হতে হবে। সোমবার রাতে রোজিনা মুচলেকা দিয়ে চলে যেতে চাইলেও যারা বাহাদুরি করে যেতে দেননি তাদের মগজে কী আছে আল্লাহ জানেন। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমের সামনে এসে যা বললেন তাতে মানুষ এখন আর বিরক্ত বা রাগ করে না। বিনোদনের নতুন মাত্রা পায়। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি সচিবের পিএসের টেবিলে উন্মুক্ত ফেলে রাখা হয় এটাও এবার দেশবাসী যেমন জানল তেমনি জানল ব্রিটিশ এখন যে আইন ব্যবহার করে না সেই ১৯২৩ সালের কালো আইনে মামলা করে আমরা জানিয়েছি এখনো ঔপনিবেশিক আইনের শৃঙ্খল থেকে বের হতে পারিনি।  

যাক, রোজিনা একজন সংবাদকর্মী আর একজন সংবাদকর্মীর জন্য এবার জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সাংবাদিকদের প্রতিটি সংগঠন জোরালো প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, মানববাধিকার সংগঠন, রাজনৈতিক শক্তি এক কথায় মানুষ শক্তিশালী প্রতিবাদ করেছে। সরকারের রাজনৈতিক মন্ত্রী এবং নেতারাও বিষয়টি বিলম্বে হলেও বুঝেছেন এবং ইতিবাচক মনোভাব থেকে বলেছেন, রোজিনা ন্যায়বিচার পাবেন। রোজিনা জামিন পেয়েছেন। তার প্রতি যারা মানসিক, শারীরিক নির্যাতন করেছেন তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।

করোনাযুদ্ধে যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নেতৃত্বের দক্ষতা আন্তরিকতায় অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন সেখানে স্বাস্থ্য খাতের নির্লজ্জ দুর্নীতিবাজ দাম্ভিকরা বারবার সে অর্জন ধূসর করে দেয়। এই অসৎ নীতিহীনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই। এরা দানব শক্তিতে পরিণত হয়েছে। কর্মকর্তা থেকে গাড়িচালকরা কোটিপতি। কী দুর্নীতি আজ সরকারি খাতে যেখানে আবার স্বাস্থ্য খাত সর্বাধিক বিতর্কিত।

দুঃখজনক হলেও সত্য রোজিনাকে যখন আটকে রাখা হয় সহকর্মীরা প্রতিবাদ অবস্থান নিয়েছেন কিন্তু তার প্রতিষ্ঠানের সিনিয়ররা ছুটে যাননি। যাদের সঙ্গে সারা দিন অফিস করেন তারা ঝাঁপিয়ে পড়েননি। অতীতেও তার প্রতিষ্ঠান বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ আলেমদের কাছে তওবা করে কার্টুনিস্ট আরিফকে বলি দিয়েছে, নিজেরা দায় নেয়নি। রোজিনার প্রতিষ্ঠানের গোষ্ঠীস্বার্থের পলিসির সঙ্গে অনেকের দ্বিমত আছে। রাজনীতিবিদদের চরিত্রহননের অভিযোগ আছে। অন্য গণমাধ্যমের প্রতি সৌজন্যবোধ না থাকার উদাহরণ অনেক। যে কোনো সংবাদকর্মীর বিপদে পাশে না দাঁড়ানোর নজির অনেক। রোজিনার বিষয়েও তার প্রতিষ্ঠানের কলিগরা কোনো প্রতিবাদে যুক্ত হননি। তবু প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, একজন রিপোর্টার রোজিনার পাশে স্বাধীন সাংবাদিকতার ও নিরাপত্তার দাবিতে সাংবাদিক মানুষ প্রতিবাদ করেছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের ও বাণিজ্যের জন্য নয়। পেশার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য।

রোজিনার প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য ও হিসাবের অঙ্ক বোঝে, মানবিকতা, পেশার প্রতি কমিটমেন্ট, সংবাদকর্মীদের জন্য দায়িত্ব ও দরদ বোঝে না। রোজিনার প্রতিবাদে সেটাই দেখিয়ে দিয়েছে। সুযোগ বুঝে জাল টানে। মুনাফা লোটে।

বেশ ক’মাস আগে একটি বিকৃত মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে আমার উত্তরার ফ্ল্যাটে সুসংগঠিতভাবে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উসকানি, হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লেখার প্রতিক্রিয়া এমন বর্বরতার সঙ্গে দেখানো হয় যে সেই আক্রমণ পুলিশকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। সেক্টরের মানুষকে বেরিয়ে প্রতিরোধ করতে হয়েছে। সেই তদন্ত বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি হয়নি। সেই সময় এমন বর্বর হামলার মুখে সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোকে নিন্দা-প্রতিবাদ জানাতে দেখিনি। এ নিয়ে কোনো ব্যক্তিগত দুঃখবোধ নেই। তবে প্রশ্ন আছে সম্পাদক পরিষদের নীতিমালা কী? ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থেই কি তার প্রতিবাদের সীমানা নাকি যেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন সেখানেই প্রতিবাদ? সেদিন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম প্রতিবাদটি করেন। তারপর সাংবাদিক ইউনিয়ন। রোজিনার প্রতিষ্ঠান সব সময় একটি গোষ্ঠী কোটারি স্বার্থ রক্ষার নিজস্ব নীতিমালা নিয়ে চলে। কিন্তু যদি রোজিনার বিষয়ে প্রতিবাদে সবাই উত্তাল না হয়ে তার প্রতিষ্ঠানের সংকীর্ণ গোষ্ঠীস্বার্থ হিসেবে নিত তাহলে এমন প্রতিবাদ হতো না। রোজিনার জায়গায় অন্য প্রতিষ্ঠানের কোনো গণমাধ্যমকর্মী যদি নাজেহাল হতো তাহলে তার প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীরা কি এভাবে রাত-দিন প্রতিবাদে ছুটে যেতেন? তারা তো রোজিনার জন্যই নামেননি।  

কারওয়ান বাজারে অফিসে ঢুকলেই প্রতিষ্ঠান তাদের ভিনগ্রহের সংবাদকর্মীর চরিত্রে তৈরি করে। কেন? এটাও বিচার করার সময় এসেছে। মূল্যায়ন করতে হবে। রোজিনা একজন সংবাদকর্মী বলেই সবাই প্রতিবাদ করেছে, কোন প্রতিষ্ঠানের দেখেনি। এবং তাই হওয়া উচিত। যে কোনো গণমাধ্যমকর্মীর ওপর নিপীড়ন হলে, বিপদ নামলে সব গণমাধ্যমকর্মীকেই প্রতিবাদ করা উচিত। সব প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সোচ্চার হওয়া উচিত এবং নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ানো উচিত। না হয় স্বাধীন গণমাধ্যমের শক্তি নড়বড়ে হয়ে যাবে। এক কথায় যেখানেই সাংবাদিক নির্যাতন সেখানেই শক্তিশালী প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চাই। এমনিতেই গণতন্ত্র দুর্বল হলে গণমাধ্যম দুর্বল হয়। সাহস শক্তি হারায়। দেশে গণতন্ত্র যে দুর্বল সেটি সবার জানা।

সদ্য অবসরে যাওয়া সংস্থাপন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনকে নিয়ে লিখব ভেবেছিলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আমার অগ্রজ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী মেধাবী ভদ্র বিনয়ী বন্ধুবৎসল। প্রশাসনে মেধা দক্ষতা গণমুখী নিরহংকার নির্লোভ চরিত্র দিয়ে অবদান রেখেছেন। সম্মানের সঙ্গে অবসর নিলেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চাননি। একজন উত্তম আমলা বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ব করাই যায়। যারা তাকে চেনেন কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করতে পারবেন না। প্রশাসনে এমন ভালো মেধাবী দক্ষ গণমুখী কর্মকর্তা অনেকেই আছেন। আজকাল চারদিকে আলোচনা উঠেছে একদল আমলা দেশটাকে বাপ-দাদার সম্পদই মনে করছেন না জনগণ ক্ষমতার মালিক এটা ভুলে গিয়ে তারা নিজেদেরই ক্ষমতার মালিক ভাবেন এবং সে রকম ঔদ্ধত্য নিয়ে কাজ করেন।  

অনেকে দেশ-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়েছেন এবং সরকারি চাকরিজীবন শেষে রাজনীতিতে এসে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীকে এক পাল্লায় তোলা না গেলেও একটি অংশ ক্ষমতার তাপ সইতে না পেরে বাহাদুরি করছেন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদ নয়, সরকারি কর্মচারীরাই বেশির ভাগ বিদেশে বাড়ি করেছেন। ’ ক্ষমতা, সম্পদ, অর্থে তাদের মন ভরছে না। এখন রাজনৈতিক ক্ষমতা চাই। রাজনীতিবিদ যতই বিতর্কিত হোক না কেন তার চরিত্র গণমুখী হয় এবং জনগণকে নিয়েই তার দিন-রাত চলা হয়। জনগণের স্বার্থে তার চরিত্র সেবকের মতো হয়ে পড়ে। অন্যদিকে আমলা বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা জনগণের মাঝে এসেও নিজেকে প্রভুর আসনে রাখতে পছন্দ করেন। রাজনীতিতে যেমন রাজনীতিবিদদেরই সুন্দর দেখায় তেমনি প্রশাসনে দক্ষ আমলা। সামরিক শাসকদের হাত ধরে অনেক সামরিক-বেসামরিক আমলা রাজনীতিতে এলেও সরকারি দলে ভালো করলেও বিরোধী দলে মন্দাভাব। তেমনি রাজনীতিবিদদের আসন দখল করে সংসদে আমলাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। এখন জোর দাবি উঠেছে, দীর্ঘ জীবন সরকারি চাকরি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ তারপর আবার রাজনীতি? খায়েশের শেষ নেই।  

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বারবার রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে রাখতে রাজনীতিবিদদের তাগিদ দিয়েছেন। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, চাকরি শেষে কেন? ডাক্তার হয়েই রাজনীতিতে নামুন। বিসিএস পাস করেই রাজনীতি করুন। রাজনীতি যে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, অগ্নিপরীক্ষা বা নিজেকে তৈরি করার সেটি করতে চান না বলেই অনেকে আয়েশের ভোগের ক্ষমতার ষোলকলা পূর্ণ করে রাজনীতিতে আসতে চান। রাজনীতি রাজনীবিদদের হাতেই রাখতে হবে। রাজনৈতিক সরকারে রাজনৈতিক মন্ত্রীদের কর্তৃত্ব প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মানতে হবে। রাজনৈতিক অঙ্গীকার পূরণে কাজ করতে হবে। সংবিধান আইন কারও পক্ষেই লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। সংবিধান আইন বিধিবিধান সবার কাজের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখানে কোনো উগ্রতা হঠকারিতা ও ক্ষমতার দম্ভের সুযোগ নেই। সংবিধান-আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। জনগণই ক্ষমতার মালিক। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী থেকে মন্ত্রী সবাই জনগণের সেবক।

একটি বাগান নষ্ট করতে একটি বানরই যথেষ্ট। আগেই বলেছি সব আমলা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী যেমন খারাপ নন তেমনি সব রাজনীতিবিদও খারাপ নন। উত্তম আমলা বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ইমেজ রক্ষায় যেমন বিতর্কিতদের সংশোধন বা প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি তেমনি রাজনীতিতেও রাজনীতিবিদদের আচার-আচরণ সংশোধন অনিবার্য। সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে যেখানে কারও যাওয়ার জায়গা নেই, সুযোগ নেই সেখানে অবশ্যই যারা সীমাহীন ঔদ্ধত্য নিয়ে ক্ষমতার দম্ভে সীমানা লঙ্ঘন করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। সেই রাজনীতিবিদ যেমন খারাপ যিনি জনগণকে মিথ্যা আশ্বাস দেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন এবং নিজেও লোভ-লালসায় ভাসেন। গণবিরোধী ভূমিকা রাখেন। তেমনি প্রজাতন্ত্রের সেই কর্মচারীও খারাপ যিনি ওপরের বসকে চাটুকারিতায় সম্মোহন করে রাখেন, ঘুষ খান, ফাইল আটকে চাঁদা নেন এবং ক্ষমতা ও অর্থের নেশায় বুঁদ হয়ে গণবিরোধী দাম্ভিক জীবনযাপন করেন।

আমরা চাই সমাজে যে হারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, অস্থিরতা ও হিংসা-বিদ্বেষ প্রতিহিংসা বাড়ছে সেখানে সংবিধান ও আইনের আলোকে যার যার সীমানা নির্ধারণ করে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হোক। একদল ধূর্ত শেয়াল বা বানরের দায় প্রশাসন বা সরকার কেন নেবে? এদের জন্য সরকার জনগণ দূরত্ব অসন্তোষ তৈরি হয়। রাজনৈতিক সরকারের চাই মানুষের জন্য কাজ ও জনপ্রিয়তা। লোভী ধূর্ত বানর শেয়াল পোষা নয়।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
এমআরএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।