ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

ফখরুদ্দিন-মঈনের বিচারের সুপারিশ কী উস্কানিমূলক?

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২
ফখরুদ্দিন-মঈনের বিচারের সুপারিশ কী উস্কানিমূলক?

সবশেষ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সেনা-ছাত্র সংঘর্ষ ও ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড ফখরুদ্দিন আহমদ ও সেনা প্রধান মইন উ আহমেদ সহ ৬ জনকে প্রচলিত আইনে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রাশেদ খান মেননের নেতৃ্ত্বে কমিটির সুপারিশ সোমবার জাতীয় সংসদে জমা হয়েছে।

আপাতদৃষ্টে কাগজে কলমে এটি একটি ঐতিহাসিক কাজ বলা যেতে পারে। কিন্তু দেশের সংঘাতপ্রবণ বাস্তব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একইসঙ্গে পুরো বিষয়টিকে আমার কাছে মনে হয়েছে একপেশে ও উস্কানিমূলকও।

কেন এমন মনে হয়েছে তা ব্যাখ্যার চেষ্টা  করবো। এটি আমার একেবারেই ব্যক্তিগত ধারণা। এটি যে শতভাগ বিশুদ্ধ ও স্বতঃসিদ্ধ তা দাবি করবো না। এ নিয়ে আলোচনা-বিতর্কও হতে পারে। আলোচনা-বিতর্ক থেকেই বেরিয়ে আসতে পারে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটি মত। তবে সবার আগে বলে নিচ্ছি বোধ ও বিশ্বাসে আমি গণতান্ত্রিক একজন মানুষ। নিজে কম জানি বলে যখনই সুযোগ পাই পড়াশুনা ও অন্যের কথা শোনার চেষ্টা করি বেশি। কিন্তু একই সঙ্গে মনে করি বাংলাদেশে এখন যে শাসন ও প্রধান দুটি দলের রাজত্ব চলছে, এটি কোনওভাবেই গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক নয়। দেশের চলমান শাসন-রাজনীতিকে যদি ‘গণতন্ত্রের রোল মডেল’ দাবি করা হয় বা মানতে বাধ্য করা হয়, তাহলে গণতন্ত্রপিয়াসী নতুন কোনও দেশ আর গণতন্ত্রের পথে আসতে রাজি হবে না। এরপরও আমরা এ গণতন্ত্রটুকুও ধরে রাখার পক্ষে। কারণ সামরিকতন্ত্রের চেয়ে এটি মন্দের ভালো।

 সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যা ঘটেছে, ড. আনোয়ার হোসেন সহ শিক্ষকদের চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া, নারকীয় নির্যাতনসহ এর অনেক কিছুই কোনও বিবেকবান মানুষ সমর্থন করতে পারে না। কিন্তু একইসঙ্গে ভুলে গেলে চলবে না, উর্দিধারীরা এমন সুযোগ পেলে এসবই করে। মনে রাখা ভালো, ১/১১ ওয়ালাদের ক্ষমতায় এনেছে কে বা দেশের কোন পরিস্থিতি! দেশে তখন বিএনপি-জামায়াত জোট জবরদস্তিমূলক একটি নির্বাচনের চেষ্টা করছিল। সেই নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। সেই মুখোমুখি পরিস্থিতিতে কয়েকজন কূটনীতিক নজিরবিহীনভাবে সেনানিবাসে গিয়ে জেনারেল মইনের সঙ্গে বৈঠক করে তাকে ক্ষমতা অথবা একটি উদ্যোগ নিতে কি প্রলুব্ধ করেন নি? ড ফখরুদ্দীন কী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হতে কারও কাছে দরখাস্ত দিয়েছিলেন? তখন সেনা হস্তক্ষেপে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন দিতে শেখ হাসিনা সহ মহাজোটের নেতৃরা কি বঙ্গভবনের শপথ অনুষ্ঠানে ছুটে যাননি? ঢাবি ক্যাম্পাসের ঘটনার মতো ওই সরকারের আরও অনেক ন্যক্কারজনক ঘটনা আছে। কিন্তু ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ভালো একটি নির্বাচনের সুফল যদি বর্তমান শাসকগোষ্ঠী এনজয় করতে পারে, তাহলে সে সরকারের সব দায়দায়িত্ব নেবে না কেন?
 
সে সরকার ক্ষমতায় এসে আগে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেছে, বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাদেরও গ্রেফতার করেছে, জামায়াত-জাতীয় পার্টির নেতাদের গ্রেফতারে লজ্জা পেয়েছে, এর সবই সত্য। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে নানান মামলায় টানাহেঁচড়ার সময়েও খালেদা জিয়া টেলিকনফারেন্স করে যাচ্ছিলেন, এসব সত্যও অকাট্য। যেমন সত্যি সে সরকার এমন কিছু লোকজনকে আটক করছিল, যাদের যে আদৌ আটক করা যায়, এ বিশ্বাসটুকু দেশের মানুষের বিশ্বাসের বাইরে ছিল। তখনই বিএনপির পরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কী দুর্নীতির দায়ে তারেক-কোকো-ফালু-মামুনকে গ্রেফতার করতো? তারা তখন তারেক-কোকোকে দেশ ছাড়া করতো কী? দেশে এমন বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাসীর অভাব হবে। ১’১১’ এর আরেক সত্য আওয়ামী লীগ, বিএনপির একদল নেতা সেই সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি সংসদে জমা রিপোর্টের কমিটি প্রধান রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু’ও সেই সংস্কার প্রক্রিয়ার জোরালো বিরোধী ছিলেন না। এরকারণে ক্ষমতায় গিয়ে শেখ হাসিনা তাদের বাদ দিয়ে দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রী করেছেন। এরশাদও যেন ছিলেন কোন একটি চান্সের আশায়! সে কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ এরশাদকে আটক করেনি সে সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তারা জামায়াতের গায়ে হাত দেয়নি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চেষ্টা করেনি। নামকাওয়াস্তে কিছুদিনের জন্য মতিউর রহমান নিজামিকে আটক করা হয়েছিল।
এখন দেশের আলোচিত যত টকশো, এসবের সঞ্চালক, অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগ ছিলেন ১/১১’র সরকারের মিডিয়া পার্টনার অথবা ক্যাম্পেইনার। বলা হয়, এদের অনেকে প্রজেক্টের জন্য ডিজিএফআই’র অফিসে গিয়ে বসে থাকতেন।   ডিজিএফআই’র প্রজেক্ট মানে টাকা। কেউ কোনকিছুই সেই সরকারকে ভালোবেসে ফ্রি করেননি। আজ যত রাজনীতিক সংস্কারপন্থী হিসাবে চিহ্নিত, মিডিয়া তাদের টকশো’র টেবিলে নিয়ে বসিয়ে তাদের দিয়ে নানান তত্ত্ব বাজারজাতকরণের চেষ্টা করেছে। এর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর এক ড আনোয়ার হোসেন একা যেভাবে প্রতিবাদ করছেন, আর কেউ তা করেননি। না রাজনীতিক, না সুশীল সমাজ, না মূলধারার মিডিয়া, কেউ না। কর্নেল তাহেরের ভাই হওয়াতেও বুঝি ড আনোয়ারের পক্ষে তখন এমন একা সাহস দেখানো সম্ভব ছিল। ঠিক একই সময়ে ওই সরকারের উপদেষ্টা হতে অনেক ‘সুশীল’ জেনারেল মইনের অফিসে গিয়ে ইন্টারভ্যু দিয়েছেন। কিংস পার্টি হিসাবে বদনাম শুধু হয়েছে ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর। কিন্তু নেপথ্যে আরও যে অনেক ‘কিংস খেলোয়াড়রা’ ছিলেন, তা ওয়াকিফহালরা জানেন।
 
এখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ওই ঘটনা কেন ঘটলো বা মহাজোটের প্রশ্রয়ে ক্ষমতা নিয়েও ১/১১’র সরকার কেন শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার করলো? আপনি দেশে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবেন, আর্মিকে একটি ব্যবস্থা নিতে প্রলুব্ধ করতে পারবেন, আর এ আর্মি’তো গ্রাম পুলিশ না, তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র, তারা ক্ষমতা পেলে কি করে বা কি করতে হয়, তাদের সামনেতো এ ব্যাপারে জিয়া-এরশাদের দৃষ্টান্ত আছে। রাজনৈতিক হানাহানি অথবা সামরিক ক্যু’র বেনিফেশিয়ারি হিসাবে ক্ষমতা নিয়ে অনেক কিছু দেশে করা হয়েছে। সে আস্কারা না হলে সারা দেশ ঢাকার নিয়ন্ত্রণ, ঢাকায় দেশের মূল ক্যান্টনমেন্টটি থাকা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা ক্যাম্প করতে হবে কেন? সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ছাত্র আন্দোলন পাহারা দেয়া নয়। কিন্তু জিয়া-এরশাদসহ সব সামরিক আমলেইতো সেনাবাহিনীকে দিয়ে এসব করানো হয়েছে। এসব দায়িত্ব দীর্ঘদিন পালন করতে দিলে সেনাবাহিনীর লোকজনের, তাদের আত্মীয়স্বজনের আচার-আচরণেও নানান বাড়াবাড়ি দেখা দেয়। ঢাবির সেই ঘটনা ছিল তেমন একটি বাড়াবাড়ি। এর জন্যে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রাথমিকভাবে দায়ী।
 
ফখরুদ্দীন-মঈন যেহেতু তখন দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা এর জন্য দায় তাদেরও দেয়া যায় বা তারা ঘটনার দায়দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। কিন্তু এমন দায়দায়িত্ব নিজেরা কী অতীতে কেউ কাউকে দিয়েছেন, নিয়েছেন বা এমন কোন দৃষ্টান্ত আছে কী? তাহলে নূর হোসেন হত্যার দায়ে এরশাদের কেন বিচার করা হলো না? সর্বশেষ আন্দোলনের নামে নিহত পাঁচজনের দায়দায়িত্ব দিয়ে কী হাসিনা-খালেদার বিচারের সুপারিশ করতে পারবেন? ১৯৮৩-৮৪ তে ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মিছিলে ট্রাক তুলে দেয়া, জয়নাল, দীপালি সাহা, সেলিম, দেলোয়ার সহ অসংখ্য হত্যার দায়ে কী এরশাদকে কোনদিন বিচারের সম্মুখিন করার চেষ্টা হয়েছে? অবৈধভাবে ক্ষমতা নেয়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে বিচারের আওতায় নিতে বললো, উল্টো তাকে বগলদাবা করে হয়েছে মহাজোট! কোর্টের নির্দেশনার পরও তাকে মহাজোটে রাখা হয়েছে, এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলাকারী জাসদের হাসানুল হক ইনু পর্যন্ত শেখ হাসিনা রাগ করতে পারেন সে ভয়ে তা আর কখনো জোর দিয়ে বলেন না, বারবার করে বলেন না! এরশাদের সে সব ঘটনার বিচার করলে কী ঢাবিতে আবার কেউ সে ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পায়?

পঞ্চম-সপ্তম সংশোধনী বাতিলের সময় সেনা অভ্যুত্থানের যে কোনও চেষ্টার বিচারের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। তখন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সহ অনেকে বলার চেষ্টা করেছিলেন, আর কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা নেবার সাহস পাবে না। কিন্তু সর্বশেষ ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার কথা জানার সঙ্গে দেশের মানুষ জানলো, সুপ্রিমকোর্ট কি বলেছে না বলেছে, ক্যু’ওয়ালা তা জানার-ভাবার চেষ্টা করেনি। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের মতো ক্যু’ওয়ালারা বর্তমান সরকারের বিরোধীদের সমর্থন পাচ্ছিল। আমরা পছন্দ অথবা অপছন্দ করি, সেটি ভিন্ন কথা; কিন্তু একথাতো সত্য যে জেনারেল মঈনরাতো ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক কিছু ভালোমানুষি অথবা ভদ্রলোকি করেছেন। মাঝে মাঝে ভাতের বদলে আলু খাওয়ার কথা বললেও জিয়া-এরশাদের মতো ডাইরেক্ট ক্ষমতা নেননি।

তবে কেন সেই সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করলো? এ প্রশ্নের জবাবটিতো এখন খালেদা জিয়ার খোঁজার কথা। কারণ ১/১১ যে দৃষ্টান্তটি রেখে গেছে তা হলো এ ধরনের সরকার কারও জন্য বা পক্ষে ক্ষমতায় আসে না। নিজেদের জন্য আসে। কেন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের জায়গায় ২ বছর ক্ষমতায় থাকলো? এর জবাবতো তাদের উপদেষ্টা ড কামালের কাছে জানতে চাওয়া যায়!
 
জেনারেল মঈন যতদিন দেশে ছিলেন ততদিন কেউ কিছু বললেন না, উল্টো তার প্রতিনিধি ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সঙ্গে আমেরিকা-কানাডায় বৈঠক করা হলো, তাদের তৈরি একটি প্রায় নির্ভুল ভোটার তালিকায় নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো, কিন্তু দেশে গণতান্ত্রিক সরকার আসার ভয়ে দেশ ছাড়া হয়ে যেতে হলো ড. ফখরুদ্দীন-মঈনদের, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, হোসেন জিল্লুর রহমান গং সব দেশে আছেন, ১/১১’র আরেক কুশীলব জেনারেল মাসুদের চাকরির মেয়াদ শুধু বাড়িয়েই চলেছেন, আর দেশে যারা হাতের কাছে নেই, তাদের বিচার করে ফেলার সুপারিশপত্রটি কী বেশ গোলমেলে, স্ববিরোধী নয়?

সংসদীয় তদন্ত কমিটি কী মনে করেছে, এ বিচারে একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে? যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ সেনা শাসনের নামে বাড়াবাড়ির চেষ্টা করা না হয়। বা এটি আওয়ামী লীগের একটি ফেস সেভিং? বিচারের বিষয়টি তাদের মাথার ওপর হুমকির মতো ঝুলিয়ে রাখা, যাতে ক্ষমতা ছাড়ার আগে হোসেন জিল্লুর রহমান সহ অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে আর কী কী আলোচনা হয়েছিল, তা তারা ফাঁস না করেন! যা একবার লন্ডনে মিডিয়া ইন্টারভ্যুতে বেফাঁস কিছুটা বলে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল জলিল! কিন্তু এটি কী কার্যত হুমকিতে বহাল থাকবে? না রূপান্তর নেবে উস্কানিতে? মরেছিতো, সব বলে-কয়ে মরি! না এটি উস্কানি ভবিষ্যৎ ‘উনাদের’ উদ্দেশে? জেনারেল মঈনরা ভদ্রলোকি করতে গিয়ে মরেছেন! এখন আর দেশেও ঢুকতে পারেন না! কাজেই ভবিষ্যতের ‘উনারা’ হয়তো সে ভুল করবেন না। যা করার ‘ডাইরেক্ট’ করবেন! মনের ভয় থেকেই প্রশ্নটা রাখলাম। কারণ দেশ গণতান্ত্রিক ভাবে চলছে না। এটি না সরকারি দল, না বিরোধীদল। নানা কারণে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে।

ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।