অনেক কথার ফুলঝুরি। সময় মাত্র দেড় বছর।
রাজনীতিতে দায় না নিয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়ন করা যায় না। যদি এমন নিয়ম থাকত কেউ দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, তাহলে অবস্থার কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসত। এমন সাংবিধানিক ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। ফলে রাজনীতি দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে সীমিত থাকছে, মুখে গণতন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু দল, রাজনীতি, নীতি-নির্ধারণ সবই চলছে ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছায়।
বর্তমান সরকারের কাছে গণপ্রত্যাশা কিছুটা বেশিই ছিল। থাকার কারণ তারা অনেক অঙ্গীকার করে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু সে প্রত্যাশা যেন ক্রমেই ধূসর হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাযজ্ঞের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারও বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশে মানুষের সংখ্যা ১৬ কোটি। হ্যাঁ, সবার অন্দর মহলের খবর সরকার রাখতে পারবে না। তবে জননিরাপত্তা দেয়ার একটা নীতি-নিয়ম আছে। সেই নিয়মনীতি পালিত হলে মানুষ নিরাপত্তা পাবে, দেশে সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে- সে প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। কথা হচ্ছে, এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এমন বেফাঁস কথাবার্তা বলবেন কেন? তিনি তো আরো প্রজ্ঞা নিয়ে, আরো দায়িত্ববান হয়ে কথাটি বলতে পারতেন। কেন বলেননি।
সাগর-রুনি হত্যা বিষয়ে সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি লালমনিরহাটে এক জনসভায় বলেছেন, সাগর-রুনি হত্যার পেছনে নাকি সরকার দায়ী। সরকার নাকি খুনিদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। খালেদা জিয়া আরো বলেছেন, সরকারের দুর্নীতির আলামত, প্রমাণ সাগর-রুনি জানতেন। আর সেটাই তাদের জন্য কাল হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, খালেদা জিয়া এই জোড়া খুন সম্পর্কে যা বলেছেন, তার প্রমাণ কি তার হাতে আছে? তিনি কি তা প্রমাণ করতে পারবেন? যদি পারেন তবে খালেদা জিয়ার উচিত সে প্রমাণ দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১২