ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

“তাহাদের প্রেসক্লাব”!

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১২
“তাহাদের প্রেসক্লাব”!

আমাদের নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক প্রতিভাদের একজন আদিত্য আরাফাত। ল্যাপটপের চার্জে সহায়তা নিতে প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত, বিরূপ অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়ে ‘প্রেসক্লাব-ডিআরইউ কাদের জন্য’ শিরোনামের একটি লেখা লিখেছেন বাংলানিউজে।

আমাদের সাংবাদিক নেতা-মুরব্বিরা লেখাটি পড়েছেন কিনা, পড়ে থাকলে তাদের মনে তা রেখাপাত হয়েছে কিনা জানি না। আমার নিজের এমন কিছু অভিজ্ঞতা আছে বলে বিষয়টি আমাকে খুব স্পর্শ করেছে। তার লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার দিতেই নানান প্রতিক্রিয়া এসেছে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ফারজানা খান গোধুলি তার বিরূপ অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেছেন, একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে চেষ্টা করেও তিনি ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে পারেননি। আর এখন ফ্রি ল্যান্সার হয়েও তিনি ওয়াশিংটন প্রেসক্লাব, ফরেন জার্নালিস্ট ক্লাবসহ স্টেট ডিপার্টমেন্ট জার্নালিস্ট ক্লাবের সদস্য। গোধুলির স্বামী জুয়েল সামাদ এখন এএফপির সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট হিসাবে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এটাচড। আদিত্যকে শান্তনা দিতে গোধুলি লিখেছেন, জুয়েলও প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন না, তাতে কী!

আবার ইরাক-আফগানিস্তান যুদ্ধ কভার করা দেশের স্বনামখ্যাত সাংবাদিকদের অন্যতম আনিস আলমগীর লিখেছেন, আরাফাত প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যই হতে চান না আবার এসব প্রতিষ্ঠানের সুবিধা চান। বিষয়টিকে ‘কেউ বিয়ে না করে বউ  পাবার’ চেষ্টার সঙ্গে তুলনা করে আনিস আলমগীর লিখেছেন, অন্যায় হলে এর প্রতিবাদ করতে হবে। এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান-সংগঠনসমূহকে রক্ষা করতে হবে আমাদেরকেই।

আশাকরি আনিস আলমগীরের মতো দায়িত্বশীল সিনিয়ররা আদিত্য আরাফাতের মতো তরুণ সাংবাদিকদের ডেকে তাদের সমস্যাগুলো জেনে প্রতিকার দেবার চেষ্টা করবেন। কারণ তারাও একদিন এমন একটি বিরূপ পরিবেশ পার করে এসেছেন। আমার মতে সমস্যাটা যাচ্ছে না অনেকটা শাশুড়ি-বউ নিগ্রহের মতো।   অতীতে বউ হয়ে আসার পর অনেক নিগ্রহের শিকার হওয়া অনেক শাশুড়ি পুত্রবধূদের উদ্দেশ্যে: ‘আমিও এসব ভোগ করেছি, তুমিও করো’ মনোভাব ছাড়তে পারেন না। অথবা ‘অত তাড়াতাড়ি কাউকে কিছু দিয়ে দিতে নেই’ নীতিতেই যেন মহাসমারোহে করেন ‘বউ নিগ্রহের কাজ’! আমাদের সমাজ-সংসারে এমনটা প্রায়ই দেখা যায়।
 
পর্যটক জীবনে এবং পরে রিপোর্টিং সূত্রে সারা বাংলাদেশের প্রায় সব প্রেসক্লাবে যাবার,  তাদের অতিথি হবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। নানাদেশের প্রধান কিছু প্রেসক্লাবেও গেছি। কিন্তু নিজের দেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য আমি না। এক সময় এমন একটা স্বপ্ন ছিল। বা মনে হতো প্রেসক্লাবের সদস্য না হলে বুঝি সাংবাদিক জীবনই বৃথা! অনেক সিনিয়র ভাই প্রেসক্লাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাঝেমাঝে ডালপুরি খাওয়াতেন। গর্ব করে বলতেন, জানিস, এই ডালপুরির দাম নামমাত্র! কারণ জুয়া, হাউজি খেলাসহ প্রেসক্লাবের নানা আয়ের টাকা থেকে এর সদস্য সাংবাদিকদের খাবারের দামে ভুর্তকি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক আর মিডিয়ার ভয়ে ঢাকা শহরে আর দেশে জুয়া-হাউজি নিষিদ্ধ থাকার সময়েও প্রেসক্লাবে তা জায়েজ চলতো। এখনকার অবস্থা বিস্তারিত জানি না।

রিপোর্টিং জীবনের শুরুর দিকে গেটের প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেসক্লাবে ঢুকতে পারা ছিল বিশেষ মুন্সিয়ানা! অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড যখন ছিলো না, তখন এভাবে সচিবালয়ে ঢোকাও ছিল বিশেষ সংগ্রামের। প্রেসক্লাবের দোতলার লাইব্রেরির বাইরে অনেক পত্রিকার ফাইল থাকতো। একসঙ্গে ফ্রি অনেকগুলো পত্রিকা পড়ার লোভেও প্রেসক্লাবে যেতে মন চাইতো। এখন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বিচারের জন্য আটককৃত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মতো অনেক কুখ্যাত রাজাকার প্রেসক্লাবের সদস্য। ভিতরে গিয়ে এদের দেখে ঘেন্নাও লাগতো।

একবার এক বিদেশি সাংবাদিক ঢাকা এসে আমার সঙ্গে প্রেসক্লাবে যেতে চাইলেন। মান-সম্মান রাখতে তখনও এক সিনিয়র ভাই’র দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
 
একসময় অসদস্য কেউ প্রেসক্লাবে ঢোকে কিনা তা পাহারা দিতে আব্দুর রহমান নামের একজন সিনিয়র সাংবাদিক দাঁড়িয়ে থাকতেন প্রবেশপথে। অসদস্য কাউকে ত্রি-সীমানায় পেলে তার সঙ্গে সারমেয়জ্ঞানে যা-তা ব্যবহার করতেন। প্রেসক্লাবের সদস্য নন এমন কত তরুণ সাংবাদিককে যে এভাবে এই একজন আব্দুর রহমানের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে, তার কোনও লেখাজোখা নেই। আবার নির্বাচনে দাঁড়ালেই তিনি পাশ করতেন। এ নিয়ে আমাকে একজন একবার বলেন, অসদস্য সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে ঢুকুক, এটি যে সদস্য সাংবাদিকরা পছন্দ করেন না তা আব্দুর রহমানের বারবার বিজয় প্রমাণ করে। আমার একটা দোষ বা গুণ যাই বলেননা কেন, তাহলো যা সত্য ও বিবেক যা যখন বলে তা লিখে ফেলি, এর কী প্রতিক্রিয়া হবে না হবে অত কিছু ভাবি না। প্রেসক্লাবের ওইসব বিষয়াদি নিয়ে সাপ্তাহিক খবরের কাগজে একবার ‘হলুদবাড়ির অন্ধকার’ শিরোনামে একটা লেখাও লিখে ফেলি। সেখানে লিখেছিলাম আব্দুর রহমান ভাই মারা গেলে তার জানাজায় তো আমরাই যাবো। কারণ প্রেসক্লাব চত্বরতো এমন জানাজার জন্যেও একটি জনপ্রিয় ভেন্যু!

ওই লেখাটি পড়ে প্রিয় একজন সাংবাদিক বড়ভাই দেখা হতেই বলেন, ‘তুই এইটা করছস কী? তোরে তো জীবনেও কেউ আর প্রেসক্লাবের মেম্বার অইতে দিবোনা। তুই এপ্লাই করলেই ব্ল্যাকবল মারবো’। এই ব্ল্যাকবল আবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক(!) বিষয়! কারও আবেদনে ব্ল্যাকবল পড়লে সে আর সেখানকার সদস্য হতে পারবেনা। জাতিসংঘের ভেটো প্রয়োগের মতো আর কী! প্রেসক্লাবের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, যারা সারাদিন দেশের গণতন্ত্রের গোষ্ঠী উদ্ধার করেন, তারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, এই ব্ল্যাকবল নাকি প্রেসক্লাবের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ! এখন আবার ব্ল্যাকবলের ছোবল থেকে নিজেদের লোকজনকে রক্ষা করার জন্য প্রতিবার নতুন সদস্যের আবেদনপত্র বাছাই’র সময় প্রেসক্লাবের দুই রাজনৈতিক পক্ষ, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ-বিএনপি পক্ষ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেন। দু’পক্ষ আগেই যার যার তালিকা নিয়ে বসে পরষ্পরকে বলেন, এইগুলা আমাদের মানে ‘আওয়ামী লীগ’, এইগুলা তোমাদের মানে ‘বিএনপি’। সাংবাদিক হিসাবে না, এভাবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি চিহ্নিত হতে ইচ্ছুকরাই যেন সদস্য হতে পারেন প্রেসক্লাবে। বামপন্থী অনেকে আওয়ামী লীগ, অনেকে বিএনপির প্যানেলভূক্ত হিসাবে সদস্য হন। আর বিএনপি-জামায়াততো ভাই ভাই। আনন্দের সীমা নাই।

একবার দেখি আমার চেয়ে অনেক জুনিয়ররাও প্রেসক্লাবের সদস্য হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার আর হয়নি। সদস্য হতে হলে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি হতে হবে এটি নিজের সাংবাদিক স্বত্বার কাছে অস্বস্তিকর-আপত্তিকর মনে হয়। তাই আর আবেদনও করিনি। পরবর্তিতে রিপোর্ট নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে যেতে হয় যে রিপোর্ট ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ হয়নি। দেশে থাকলে বেশিরভাগ সময় থাকতাম সরেজমিন রিপোর্টিং’এ ঢাকার বাইরে। অথবা বিদেশের নানা স্পটে। দেশে ফিরে আবার জমা রিপোর্ট লিখতে লিখতে আরেকটা ট্যুরের সময় চলে আসতো। মাঝে মাঝে প্রেসক্লাব নির্বাচনের সময় অনেকে এসে ভোট চাইতেন। আমি সদস্য না বললে অবাক হয়ে বলতেন, কেন কেন? এরপর চাইতেন দোয়া। মনে মনে হাসতাম।
 
জনকন্ঠে আমার পাশের আসনে প্রেসক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য বসতেন। আমাকে প্রায় শুনিয়ে শুনিয়ে বলতেন, কবি শামসুর রাহমানও কিন্তু প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন না অথবা হতে পারেননি। তার কথা শুনে মনে মনে রাগ হতো আর একটি গল্প মনে পড়তো। খবরের সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান একসময় ভারতের কোথায়ও থেকে যেনো একটি ডক্টরেট ডিগ্রি জোগাড় করেন। তখন সারাদেশ জুড়ে সে কী দাপট ড মিজানুর রহমান মিজানের! নানা জায়গায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা দেন! আর সে সব ছাপা হয় খবর গ্রুপের পত্রপত্রিকায়! গল্পটি মোটামুটি এ রকম, মিজান সাহেব একদিন তার ফটোগ্রাফার মাহফুজকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা মাহফুজ, বঙ্গবন্ধু কী কখনো কোন ডক্টরাল ডিগ্রি পেয়েছিলেন? চামচা মাহফুজ জবাব দেন,` দূর স্যার কী যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আবার কে ডক্টরেট দেয়!`

মিজান সাহেব তখন, হুম শব্দে একটি প্রশান্তির দীর্ঘ শ্বাস ছাড়েন! যেন তিনি বঙ্গবন্ধুর চেয়েও উপরে উঠে গেছেন! প্রেসক্লাবের সদস্য ওই ব্যক্তিটিও যেন তেমন নিজেকে শামসুর রাহমানের ওপরে ভাবতেন!

প্রেসক্লাবের নানাকিছুর প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির জন্ম হয়। আবার রিপোর্টার্স ইউনিটি হয়ে গেছে দেখে তড়িঘড়ি এর সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনকে সদস্যপদ দেওয়া হয়। কিন্তু আজও পেশাদারী সাংবাদিক দেখে না, দলীয় আনুগত্য অথবা নির্বাচনকালীন প্যানেল ভোটভূক্ত রাখা যাবে কিনা, সেটি এখনও সেখানকার সদস্য হবার মানদণ্ড রয়ে গেছে। সারাদেশের প্রেসক্লাবগুলোর সঙ্গেও জাতীয় প্রেসক্লাবের কোন সম্পর্ক নেই। পেশাদারিত্বের চাইতে দলবাজীর বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হওয়াতে এই প্রতিষ্ঠানটিরও জাতীয় কোন মানদণ্ড তৈরি হয়নি। বিভিন্ন দেশে ন্যাশনাল প্রেসক্লাব দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূতে আলোচনা-বিতর্কের কেন্দ্র হয়। সরকারি বা রাজনৈতিক-প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিসক্লোজার উপলক্ষে সবাই ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে আসেন। নির্বাচনের সময় প্রধান দুটি দলের মুখোমুখি ডিবেটও হয় ন্যাশনাল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে-মাধ্যমে। সেখানে আমাদের অনেক গৌরবের সূতিকাগার জাতীয় প্রেসক্লাবের আজকের অবস্থানটা কোথায়? যুদ্ধাপরাধী জামায়াতিদের অভয়াশ্রম? গণভবন আর গুলশানের অফিসে গিয়ে তোষামোদি? এগুলা কী সাংবাদিকতা? এমন লোকজনকে কিন্তু দলগুলো দলের ক্যাডার হিসাবেই দেখে, শাসায়। সাংবাদিকের মর্যাদা দেয় না।

প্রিয় আদিত্য আরাফাত, আপনি অনেক ভালো কাজ করছেন। আপনাদের মতো অনেক চমৎকার তরুণের কাজ দেখে মুগ্ধ হই। গর্ব হয়। প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়া না হওয়ার সঙ্গে সাংবাদিক হওয়া বা না হওয়ার সম্পর্ক নেই। উনাদের তাদের মতো থাকতে দিন। পথেঘাটে দেখা হলে সেলাম দিয়ে বলবেন, আপনারা তাদের ডালপুরিতে ভাগ বসাবেন না। এ নিয়ে উনাদের এত উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই। আর যারা আজ প্রেসক্লাবের কর্মচারীদের দিয়ে তরুণ সাংবাদিকদের কুকুরের মতো দাবড়ায়, দুর্ব্যবহার করায়, তাদের এইদিনই কিন্তু দিন না। আরও দিন আছে। আরেকটা কথা, উনারা মরে গেলে কিন্তু জানাজায় যাবেন। সেখানে মুর্দার সামনে দাঁড়িয়ে সত্যি কথাটাই বলবেন। দুর্ব্যহার বা ভালো ব্যবহার কোনটাই লুকোবেন না। রিপোর্টেও লিখবেন তাদের আমলনামা। আর পারলে রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য হোন। এটি আমাদের সংগঠন। অন্তত এখানে এখনো সদস্য হতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সাজা লাগে না। মন না চাইলে তাও করার দরকার নেই। প্রেসক্লাবের সামনে যেখানে ল্যাপটপ চার্জ করার জায়গা পেয়েছেন সেখানেই করুন। তারপরও সমুন্নত রাখুন আত্মমর্যাদা। মনে রাখবেন, একজন রিপোর্টারের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতি আমার সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে আদিত্য। আপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের সব সংগ্রামী রিপোর্টার বন্ধুদের শুভেচ্ছা।

ফজলুল বারীঃ সিডনিপ্রবাসী সাংবাদিক

বাংলাদেশ সময় ২২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।