ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন মঙ্গলবার, ২৮ বছর ধরে চলছে ‘সম্মেলন জট’

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন মঙ্গলবার, ২৮ বছর ধরে চলছে ‘সম্মেলন জট’

ঢাকা: ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি এ তিন মূলনীতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ছাত্রলীগ নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠার ৭৪ বছর উদযাপন করছে এ ছাত্রসংগঠন।

তবে বিগত ২৮ বছর ধরে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলন করতে না পারায় ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীকে।
 
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সম্মেলনকে ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
ছাত্রলীগের বিগত কমিটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সংগঠনটি সঠিক সময়ে কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজন করতে পারেনি। ১৯৯৪ সালের পরের কমিটিগুলো নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করেছে। যার কারণে বয়সের বাধ্যবাধকতায় অনেকের সংগঠনের শীর্ষ পদে আসার ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
 
২০১৯ সালে সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর দায়িত্ব পান ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। আকস্মিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তাদের সম্মেলন করার নির্দেশনা ছিল। পরে ভারমুক্ত হয়ে নির্ধারিত সময় পূরণ করেও ১১ মাস বেশি টিকে যান তারা। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন না হওয়ায় কপাল পুড়েছে অনেক পদপ্রত্যাশীর। এর আগে সোহাগ-জাকির কমিটি (২০১৫-১৮, সোহাগ-নাজমুল কমিটি (২০১১-১৫), রিপন-রোটন কমিটিসহ (২০০৬-১১) অন্যান্য কমিটি গঠনতন্ত্র মেনে সম্মেলন করতে পারেনি।
 
দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরেও দায়িত্বে থেকে যাওয়ার এ সংস্কৃতি হতাশার সৃষ্টি করেছে অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে। ছাত্রলীগের পদে আসার জন্য সর্বোচ্চ ২৭ বছরের বয়সসীমা গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে। করোনা মহামারির কারণে তা ২৯ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় এ বয়সের বেড়াজালে আটকে যান অনেক নেতা। কবে সম্মেলন হবে, তার সঠিক তথ্য না থাকায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারেন না নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিয়মিত সম্মেলনসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও নেতা হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতির আর খবর থাকে না।  
 
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিয়মিত সম্মেলন হওয়াটা জরুরি। কারণ, বয়সের কারণে অনেকে সংগঠনের জন্য সময় দিয়েও বঞ্চিত হয়। যদিও আমাদের নেত্রীর সিদ্ধান্তই চৃড়ান্ত। সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসুক। যারা আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পালস বুঝে রাজনীতি করবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এসকেবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।