ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হবই হব: ফখরুল 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হবই হব: ফখরুল 

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা যে যুদ্ধে নেমেছি, এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হবই হব। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।

তিনি বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী আটক রয়েছে। কিন্তু কারো মুখে ক্লান্তি, হতাশা দেখিনি, দেখেছি সবাইকে উজ্জীবিত। যতই নির্যাতন আসুক, যতই নিপীড়ন আসুক, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করব।  

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।  

বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা একটি আদর্শ ও লক্ষ্যের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সে আদর্শ ও লক্ষ্য হচ্ছে তার নিজের দেশ, সেই দেশকে মুক্ত করার জন্য সব মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

তিনি বলেন, গত ২২ আগস্ট থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য আমরা যে কর্মসূচি শুরু করেছি, এ কর্মসূচিতে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। এ ভয়াবহ অগণতান্ত্রিক, একনায়কতন্ত্র সরকার টিকে থাকার জন্য তারা অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে প্রায় ১৫ জন ভাই মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা বীরের মতো, তারা কেউ পেছনে পালাতে গিয়ে শহীদ হননি, সামনে দাঁড়িয়ে বুক পেতে দিয়ে তারা চলে গেছেন। আমাদের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আমাদের সহকর্মীরা শপথ গ্রহণ করেছেন।

ফখরুল বলেন, তাদের এ শাহাদাৎ তাদের পরিবারকে অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা দেশের জন্য, দেশপ্রেমের জন্য যে আত্মত্যাগ করেছে তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এটা তাদের জন্য গৌরবের কারণ হয়ে থাকবে। যুগে যুগে এ বিসর্জন দিতে হয়, প্রাণ দিতে হয় বড় কিছু করতে হলে। ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের লাখ লাখ প্রাণ দিতে হয়েছে, তখন অনেক পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। আজকে বড় এক দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, একটি বর্বর শক্তি আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তছনছ করে দিয়েছে।

এ সময় চলমান আন্দোলন সংগ্রামে নিহত তিন নেতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন বিএনপির মহাসচিব।  

অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়া তানুর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, মেয়ে তানজিনা তাশমি ও শ্বশুর শেখ আওরঙ্গ জেব উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পল্লবী থানা ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা আক্তার বর্ষা ও মেয়ে মিতিলা আক্তার মারিয়া, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ময়দানদীঘি বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার ও ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল আল মাহি উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।