ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ওয়াদা করতে হবে: নুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ওয়াদা করতে হবে: নুর

ঢাকা: বিরোধী দলগুলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ওয়াদা করতে হবে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনার পতন চান, অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চান, গণতন্ত্র চান সেসব বিরোধী দলগুলোকে জনগণের সামনে কমিটমেন্ট করতে হব তারা কেউ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন না।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১৪ দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

সমাবেশে নুরুল হক নুর আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নির্ধারিত জায়গায় সমাবেশ করে আসছি। যখনই গতকাল আমরা বলেছি আজকে বিক্ষোভ সমাবেশ করব, তখন আমাদের জায়গা আগেরদিন রাতে দখল করে একটি রাজনৈতিক দল ব্যানারে মঞ্চ বানিয়ে রেখেছে। এটি শিষ্টাচার বহির্ভূত।

বর্তমান সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধী দলগুলোর উপর অত্যাচার, খুন, গুমসহ নানা ধরনের নির্যাতন করছে। তবুও বিরোধী দলগুলো আপোস করেনি। যখন গণজোয়ার ও গণজাগরণে আওয়ামী লীগের রাজপথ কেঁপে উঠছে, তখন তারা দালাল, চাটুকরদের রাস্তায় নামিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্ত করছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের দাবি স্পষ্ট- শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত এবং অন্তর্বতীকালিন সরকার গঠন। আমরা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানোর কথা বলছি না, কাউকে হত্যার করার রাজনীতির কথা বলছি না। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি নিয়ে ৫৪ বিরোধী রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছি।

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সমপর্যায়ে নিয়ে গেছে মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। অথচ তারা যখনই ক্ষমতায় ছিল, তখনই গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, গুম খুন চালিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বাংলাদেশকে আইএমএফ' র কাছে হাজির করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে আইএমএফ' র পরামর্শে এই দেশের কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষকে মারার জন্য বারবার গ্যাসের দাম বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আবার চালাকি করে বলা হচ্ছে, দাম বাড়ানো হচ্ছে না, সমন্বয় করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের এই ভাওতাবাজি ভণ্ডামি আপনাদেরকে (জনগণ) ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জনগনের গণ দাবি আদায়ের জন্য তাদের সংগঠিত করতে আমাদের যার যার জায়গা থেকে যতটুকু করা দরকার করতে হবে। আমরা এখন কে কোন দল তা দেখার এখন সময় নেই। আমাদের ঐক্যের সুর, সম্প্রিতির সুর একটাই, এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এ সময় তিনি দেশবাসীকে বিরোধী দলগুলোর সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ 
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।