ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে সংবর্ধনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে সংবর্ধনা

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

রোববার (৫ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার (মহিউদ্দিন) পিতার উৎসাহে উৎসাহিত হয়ে দেশের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি বাঙালির মুক্তির জন্য যেভাবে লড়েছিলেন, দল তৈরি করেছেন, স্পর্শ করেছেন, ছুঁয়ে দিয়েছেন, নামটি ধরে ডেকেছেন সুন্দর করে। মানুষ আকর্ষিত হয়েছে৷ অত্যন্ত উপযুক্ত সময়ে একটি উপযুক্ত অনুষ্ঠান হয়েছে। যে এমন একজন মানুষ, প্রত্যেকটি ঘটনার সাক্ষী হয়ে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যারা রাজনীতি সচেতন মানুষ, সারাদেশে তাদের কাছে একটি নাম অত্যন্ত পরিচিত। অনেক ঘটনার পর আজ বাংলাদেশ এ জায়গায়। অনেক ঘটনায় একটি নাম ঘুরেফিরে এসেছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন৷ আমরা ধন্য এমন একজন মানুষকে পেয়েছি আমাদের স্বাস্থ্য খাতের নেতৃত্বে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের রাজনীতিতে আসার গল্প শোনান মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে, আমাকে খেলার মাঠ থেকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিলেন আমাদের ভাই শেখ কামাল। জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনের প্রার্থী দিতে এসেছিলেন তোফায়েল আহমেদ। তখন কামাল ভাই বললেন, আমার একজন ক্যান্ডিডেট আছে৷ এরপর ইকবাল হলের ১১৪ নম্বর রুমে নিয়ে আসা হলো। তখন রাত প্রায় সাড়ে ৯টা বাজে। আমার চোখে পানি চলে আসল। বললাম, আমার রাজনীতি করার দরকার নাই, আমার বাবা-মা চিন্তা করছেন। সে সময় শাজাহান সিরাজ ভাই আমাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন৷ পৌঁছেও দিলেন। সেই থেকে আমার ছাত্র রাজনীতি শুরু৷

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার শুরুতে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দিয়ে শুরু করেছিলেন, আমাদের ছোট ভাই সজীব ওয়াজেদ জয়ের মাধ্যমে। এবার আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা একইভাবে স্মার্ট বাংলাদেশও বাস্তবায়ন করব।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামালুদ্দিন চৌধুরী, ইমিরেটাস অধ্যাপক শায়লা খাতুব, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক ও বিএমএ'র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৩
এমকে/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।