বরিশাল: বরিশালের উজিরপুর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস সরদারের ওপর হামলার ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনজনকে সাময়িকভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (২৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পলাশ, শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজুল ইসলাম কাজী ও বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জসিম উদ্দিন রুবেলকে সাময়িকভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারি সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। তদন্ত করে প্রত্যেক দোষীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে মারধর ও লাঞ্ছনার শিকার হন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইদ্রিস সরদার (৪৫)।
তিনি জানান, হামলার ঘটনার আগ মুহূর্তে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষের সামনে বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমকে সালাম দিয়ে কুশল-বিনিময় করতে যান তিনি। তখন উজিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল তাকে দেখে কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদ করলে দুইজনের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে ইকবাল এমপির সামনে আমাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় ইকবালের ক্যাডার কাজী রিয়াজ (সৈয়দ রিয়াজুল ইসলাম কাজী), পলাশ তালুকদার (আতিকুর রহমান পলাশ) ও রুবেল (জসিম উদ্দিন রুবেল) সহ ৭/৮ জন এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি দিয়ে আমাকে রক্তাক্ত আহত করা হয়েছে। পরে অন্যান্য নেতারা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্বান্ত নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমপির সামনে এই আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। আর এর পরপরই নড়ে-চড়ে বসে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
এমএস/এএটি