ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ক্ষমতা ছেড়ে সরকারকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি যেতে হবে: মান্না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
ক্ষমতা ছেড়ে সরকারকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি যেতে হবে: মান্না

ঢাকা: ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সরকারকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি যেতে হবে- এমন মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।  

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে তো গ্রেপ্তার করতে পারলেন না।

তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবেনও না। শামসুর রহমান শামসকেও ছেড়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন, যে ক্ষমতায় জোর করে বসে আছেন, সেই ক্ষমতাও ছেড়ে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে যেতে হবে।  

সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা, র‍্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি’র প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  

মান্না বলেন, ব্লুমবার্গের ফোর টুয়েন্টি মার্কা রিপোর্ট দিয়ে কোনো কাজ হবে না। দেশ নাকি অনেক উন্নত হয়েছে! বেকারত্ব নাকি কমে গেছে ৫০ লাখ! এখানে যারা উপস্থিত আছেন, তারাই বলেন গত পাঁচ বছরে আপনার পরিবারের কয়জন চাকরি পেয়েছেন। সম্ভবত পুলিশে গেলে দু-একজন যেতে পারে। এ ছাড়া আর কোনো চাকরি কেউ পায়নি। যত যাই বলেন, মানুষ এখন আর আপনাদের পছন্দ করে না।  

সরকার জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না, এমন মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন আমার আপনার পেটে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে। ওরা খাবার দিতে পারবে না। এক সময় পরনের কাপড়ের অভাব হবে, তখন ওরা নতুন কাপড় দিতে পারবে না।  

তিনি বলেন, ওরা সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে না। ওরা জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না। ওরা চাকরির নিরাপত্তা দিতে পারবে না। আপনি চিৎকার যতই করেন, এই সরকারের হাতে সেই ক্ষমতা নেই। কারণ তাদের হাতে টাকাই নেই। এমনকি বিদেশে কোনো রাষ্ট্রই তাদের বিশ্বাস করে না।  

বিরোধী দলগুলোকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে মান্না বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে চামচা বানিয়েছে। বাপরে, তারা (নির্বাচন কমিশন) বিএনপিকে যে কত ভালোবাসে! বলে একবার ডেকেছে, আসেনি, বারবার ডাকতে থাকবে। এই নির্বাচন কমিশন সবার নামও জানে না। সিপিবির কাছে চিঠি দিয়েছে, দলের নাম লিখেছে আরেকটা। এমনই এই নির্বাচন কমিশন।  

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তো জানেই, বিরোধী দলগুলো নির্বাচন আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তবুও তারা নির্বাচনের আশ্বাস দিচ্ছে। কারণ বিশ্ববাসীকে তো দেখাতে হবে, আমরা তো চেষ্টা করছি যাতে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে পারি। আমি বলব এর নাম চেষ্টা না, নির্বাচনের নামে ফোর টুয়েন্টি খেলা। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যতদিন আছেন, তার অধীনে আমরা কোনোদিন নির্বাচনে যাব না।  

এ সময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
ইএসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।