ঢাকা: আগুনে ভস্মীভূত বঙ্গবাজার মার্কেট পরিদর্শন করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মার্কেট এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন তারা।
পরিদর্শনকালে বঙ্গবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা, বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, হকার ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জনগণের সঙ্গে কথা বলেন বাম জোটের নেতারা।
এছাড়া, তারা ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক, কর্মচারীদের প্রতি সহানুভূতি জানান এবং পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শন শেষে নেতারা বলেন, শুধু বঙ্গবাজারের দোকান পুড়ে নাই, এতে লাখ লাখ মানুষের ভবিষ্যৎ পুড়েছে। বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, চারটি নদী বেষ্টিত ও ২২টি খাল যে শহরে ছিল, সেই ঢাকায় আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব।
এ সময় বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের প্রতি পাঁচটি দাবি করে বাম জোট। এগুলো হচ্ছে-
১. ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের যথাযথ তালিকা করে দুর্নীতি ও দলীয়করণ মুক্তভাবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও পুনর্বাসন।
২. সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং দ্রুত সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার কারণ উদ্ঘাটন ও দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩. ঈদের আগে অস্থায়ীভাবে একই স্থানে ব্যবসা করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. প্রতিটি মার্কেট ও কমপ্লেক্স নির্মাণের সময় পুকুর, জলাধার, সুইমিংপুল নির্মাণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫. ঢাকা শহরের খাল ও জলাধারসমূহ দখলমুক্ত করে উদ্ধার করতে হবে।
বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে পরিদর্শন টিমে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, সিপিবি কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, বাসদ মার্কসবাদী নেতা সীমা দত্ত, বাসদ নেতা আনোয়ার হোসেন ও কমুনিস্ট লীগ নেতা বিধান দাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
আরকেআর/এসআইএ