রাজশাহী: রাজনীতির মাঠে তাদের দেখা যায় একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবে। কখনো কখনো মুখোমুখি অবস্থানে।
তবে ঈদ মানেই অনাবিল খুশি, সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির দিন। সব ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ার দিন। তাই বহুদিন পর রাজশাহীর ভিন্ন ধারার তিন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আজ দেখা গেলো এক কাতারেই।
রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সবার সামনের কাতারে একসঙ্গেই আদায় করেছেন ঈদুল ফিতরের নামাজ।
তারা তিনজনই রাজশাহী সিটির মেয়রের আসনে বসেছেন। এর মধ্যে দুজন সাবেক এবং একজন বর্তমান মেয়র। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু এবং নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
তবে একসাথে নামাজ আদায় করলেও পরস্পরের সঙ্গে কথা হয়নি আজও। এরপরও রাজশাহী এই তিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায়ের বিষয়টি নজর কেড়েছে সবার এবং অনেকেই আজকের এই বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ঈদের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের মধ্যে আজমল হুদা ও শাহীন আলী নামের দুই মুসল্লি বলেন, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি নির্বাচন। এর আগে ঈদের নামাজে সাবেক ও বর্তমান মেয়রদের একসঙ্গে দেখা যাওয়ার বিষয়টি অবশ্যই সৌহার্দ্য ও শান্তির বার্তা বহন করে। রাজনৈতিকভাবে তারা কখনও এক হতে না পারলেও দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে কখনও কখনও এভাবেই তারা এক কাতারে দাঁড়াতে পারেন। এতে অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
রাজশাহীতে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। রাজশাহীর বিশাল এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহ.) মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোহাম্মদ শাহাদত আলী। তাকে সহযোগিতা করেন হেতেমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি ইয়াকুব আলী।
অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদও ঈদের নামাজ আদায় করেন। এ ছাড়া রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সাধারণ মুসল্লিরা কাতারবদ্ধ হয়ে ৬ তাকবিরের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
এসএস/আরএইচ