লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম (৩৬) মারা গেছেন।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান (৩৫)।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম রাকিব ইমামকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্র সাংবাদিকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রাত পৌনে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে গুরুতর আহত রাকিবকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পথিমধ্যে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা ছিলেন।
একই ঘটনায় বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় রাকিবও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার সংলগ্ন পোদ্দার বাজার-নাগেরহাট সড়কে দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে তাদের মাথা ও মুখমণ্ডলে গুলির আঘাত লাগে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. আনোয়ার হোসেন যুবলীগ নেতা নোমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নোমানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আর গুলিবিদ্ধ রাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দুইজনের মাথা এবং মুখে গুলির আঘাত রয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম জেহাদীকে দায়ী করেছে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা নোমানের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান।
স্থানীয়রা জানায়, যুবলীগ নেতা নোমান ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে নিয়ে রাতে মোটরসাইকেল যোগে পোদ্দার বাজারে যান। মোটরসাইকেলটি রাকিব চালাচ্ছিলেন। বাজার থেকে নাগেরহাট সড়কে ঢুকলে স্থানীয় লোকজন ৩-৪ টি গুলির শব্দ পান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নোমানকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হত্যাকারীরা তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
এদিকে রাতে সদর হাসপাতালে আসেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে র্যা ব ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পারিবারের পক্ষ থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জেহাদীকে দায়ী করার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। অন্য কোনো পক্ষও ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। যারাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
আরআইএস