পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে আহত করার প্রতিবাদে পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপির বিচার ও বহিষ্কার দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বাউফল শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন ফরাজীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার।
সমাবেশ সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিলেন বাউফল যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন আকন।
এসময় বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বায়ক তালুকদার মো. জাহাঙ্গীর, এবিআর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাসীব আলম তালুকদার, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান হাওলাদার, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সদস্য এসএম ইউসুফ নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মহসীন, বাউফল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এই ফিরোজ বরিশালে মিষ্টি বিতরণ করে সড়কে নৃত্য করেছিলেন। তিনি বাউফল উপজেলাকে নিজের জুট মিল মনে করে, নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে অধীনস্থ কর্মচারী মনে করে, যখন যা ইচ্ছে ব্যবহার করেছেন। জামায়াত বিএনপি নিয়ে নিজের মত দল গঠন করে, ত্যাগীদের নানানভাবে নির্যাতন করেছেন।
গত মাসের ১৭ মার্চ বাউফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে আনন্দ র্যালিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার, বাউফল থানার ওসি আল-মামুনসহ ১০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবার সব নেতাকর্মীরা একযোগে আ স ম ফিরোজ এমপির বিচার ও দল থেকে বহিষ্কার দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
আরএ