ঢাকা: কেরানীগঞ্জে বিএনপির মিছিল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর দলীয় স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচন পর্যন্ত ধারাবাহিক সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা।
আওয়ামী লীগ বলেছে, তারা বিএনপির প্রতি নমনীয় নয়। যদি বিএনপি আক্রমণ করে, ছাড় না দিয়ে রাজপথেই প্রতিরোধ করা হবে।
আওয়মাী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা উল্লেখ করে বলেছেন, কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙতে গিয়ে বিএনপি নাটক সাজালো। বিএনপি দেখাতে চায়, আমরাই আক্রমণকারী। বিদেশিদের কাছে এটাই প্রচার করেছে আক্রমণকারী বিএনপি।
নির্বাচন পর্যন্ত ধারাবাহিক সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই নির্দেশ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
রোববার (২৮ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় তিনি নিজেদের কর্মসূচি সম্পর্কে এ ঘোষণা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তি সমাবেশ নির্বাচন পর্যন্ত বহাল থাকবে। ওয়ার্ড-ইউনিয়ন-জেলা পর্যায়েও শান্তি সমাবেশ করা হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে হবে। আক্রমণ করবো না, তবে আক্রমণ করলে ছাড় দেব না। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি এই অফিসের সামনে ২১ আগস্টে সভা করতে দেয়নি। এই অফিসের সামনে মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদকে পেটানো হয়েছে। রাসেল স্কয়ারে আব্দুস সামাদ আজাদকে মারধর করা হয়েছে। এখানে বাহাউদ্দীন নাছিম আছে, তাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে।
বিএনপি সময়ের নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরীকে প্লেট ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। এরা নোংরা, অসুস্থ রাজনীতি করে। এদের হাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ নিরাপদ নয়।
মুক্তিযুদ্ধে আমরা যে অপশক্তিকে হটিয়েছি সেই অপশক্তি এই দেশে লাশের পাহাড় সৃষ্টি করেছে। তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি না।
নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে লড়াই করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে হুঁশিয়ারি করের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ হারাতে পারবে না। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন, নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন সব মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মিলে। তারপর নেত্রী মনোনয়ন বোর্ড যার পক্ষে জনমত তাকে মনোনয়ন দেবেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজয় স্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ ভোট দিলে আছি, নইলে নাই। একটা মানুষ ক্ষুধায় মারা গেছে প্রমাণ নেই, খাদ্য সরবরাহ ও মজুদ অক্ষুণ্ণ রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। কৃষি থেকে যে ইনপুট পাচ্ছি তাতে খাদ্য সমস্যা নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে কথা চলছে আপনারা পাশের দেশ ভারতে যান, সেখানেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর প্রয়োজনের তাগিদে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি বিদেশে যাচ্ছেন দেশের প্রয়োজনে, নিজের প্রয়োজনে নয়। একদিকে জাপান আরেকদিকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আমাদেরকে বাজেট সহায়তা করছে। এই বিশ্বব্যাংক আমাদেরকে অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল। বিএনপি দেশকে ধ্বংস করছে, প্রধানমন্ত্রী যে দেশকে পুনরুদ্ধার করেছে সেটা তাদের পছন্দ নয়।
ওবায়দুল কাদেরর সভাপতিত্বে যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী ও মির্জা আজমসহ দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এনবি/এমজে