ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংকট সমাধানে গণআন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নেই: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
সংকট সমাধানে গণআন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নেই: দুদু

ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে এ থেকে বেরিয়ে আসতে রাজপথে তুমুল গণআন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, দেশনায়ক তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন এবং এ সরকারের পদত্যাগ ছাড়া দেশে রাজনীতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে এর সমাধান হবে না।

সোমবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে দুদু এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যারা হাবিবের ওপর হামলা করেছে অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের ওপর খাগড়াছড়িতে হামলা করা হয়েছে। এ সরকার তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন করে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়।

ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসক চিরকাল টিকে থাকে না। আস্তে আস্তে তারা বিলীন হয়ে যায়। এ সরকারও বিলীন হয়ে যাবে। দেশের জনগণ তাদের চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকতে দেবে না।

দুদু বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দেশের মানুষের এখন বেঁচে থাকাই কঠিন। এ সরকারি দল, সরকারের লোকজন সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়িয়েছে। এ সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এমপি-মন্ত্রীরা সিন্ডিকেট করে জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। এরপর আর বলার কী আছে।

জামায়াতের বিষয়ে দুদু বলেন, বিএনপির ২০ দলীয় জোটের একটি দলকে গত ১০ বছরে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। হঠাৎ আইনমন্ত্রীর জ্ঞান হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাদের বিচারে এখনও দণ্ডিত করা হয়নি, তাদের অধিকার আছে সমাবেশ করার। নতুন করে খেলা শুরু করতে চাচ্ছেন, খেলেন। তবে আমাদের কিছু যায় আসে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ হয়েছে। এ স্বাধীনতা-গণতন্ত্র মানুষের অধিকার যতদিন পুনরায় প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আর মানুষের এ অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের রাজপথে নামতে হবে।

বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপের বিষয়ে দুদু বলেন, আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করতে তাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। আমরা তো আপনাদের সঙ্গে সংলাপ করতে চাইনি। আবার ওবায়দুল কাদের বললেন, তারা সংলাপের কথা বলেননি। একজন সংলাপের কথা বলে আর একজন না করে। তারা একটা তামাশা সৃষ্টি করেছে। তারা জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, এ সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সংলাপ পরের বিষয়।

জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
ইএসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।