ঢাকা: বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পদযাত্রা করেছে রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে পল্টন মোড়ে এই পদযাত্রা শেষ হয়।
পদযাত্রা শেষে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, এই ভোটারবিহীন আওয়ামী অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোনো রাস্তা নেই, যে রাস্তা তারা অবলম্বন করেনি। কিন্তু আমরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, এই সরকারের দেশি ও আন্তর্জাতিক সব রাস্তা বন্ধ হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, মার্কিন দুজন প্রভাবশালী কূটনীতিক কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। যাদের বলা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজপাখি। তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, তারা স্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে বলেছে, আগামীতে রাজপথে বিরোধী দলগুলোর সমন্বয়ে, সবার অংশগ্রহণে যদি কোনো নির্বাচন না হয়, একতরফা কোনো নির্বাচনকে আমেরিকা সমর্থন করবে না।
ফারুক হাসান বলেন, আজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শুধু পুলিশের ওপর ভর করে এই সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটাই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। কারণ, তারা দেখতে পাচ্ছে, যদি এই অবৈধ সরকারকে আগের মতো একচ্ছত্র সমর্থন দিয়ে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের পরিবার, সন্তানদের জন্য ইউরোপ-আমেরিকার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তারা কখনো ডেকে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবে না।
তিনি বলেন, আজ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দল, জনগণ মাঠে নেমেছে। আমরা যদি আমাদের আন্দোলনকে সোচ্চারভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, আমি বিশ্বাস করি এই ভোটারবিহীন সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, কাক কাকের মাংস খায় না। কিন্তু নুর গতকাল আমার গায়ে হাত দিয়েছে। আমার বিশ্বাস ছিল গণঅধিকার পরিষদের কেউ আমার ওপর হামলা করতে পারে না। আমি দলের অসুস্থ সদস্যদের সাহায্য করেছিলাম জেলে থাকার সময়ে। তাই আমার এ বিশ্বাস ছিল। কিন্তু আমার এ বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে নুর। সে তার দেহরক্ষীদের দিয়ে আমাকে মেরেছে। আমাদের এই পদযাত্রা কোথায় শেষ হবে জানি না, তবে সেখানেই শেষ হবে, যেখানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবে।
পদযাত্রায় সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এই ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে ১২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ৮৮ শতাংশ ভোটার এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেন? কারণ তাদের এই সরকারের ওপর থেকে শ্রদ্ধা, ভক্তি, বিশ্বাস, আস্থা উঠে গিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, এই সরকার কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। এখান থেকে সরকারের শিক্ষা হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনও একটি আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। এমন দুটি দলকে তারা নিবন্ধন দিয়েছে, যাদের কেউ চেনে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
পদযাত্রায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সহকারী আহ্বায়ক সাকিব হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, সংগঠক মোজাম্মেল মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
এমকে/আরএইচ