লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সহিংসতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে কৃষকদল কর্মী মো. সজীব হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহতের ভাই সুজন। সংঘর্ষের দিন কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজুর বাড়িতে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি সদর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এতে আড়াইশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে সদর থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবারের (১৮ জুলাই) সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন, ভাঙচুরের ঘটনায় বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে অজ্ঞাতনামা আরও দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে একই সময়ে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন। এ মামলায়ও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে। তিনিসহ আরও ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে হত্যার ঘটনায় নিহত সজীবের ভাই মো. সুজন হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে জেলার কমলনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজুর জেলা শহরের রামগতি সড়কের ঝুমুর সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আড়াইশ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
আরএ