সিলেট: বাংলাদেশের ইতিহাসে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। যখন যারা ক্ষমতায় ছিল দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারসহ ৮ দফা দাবিতে নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিস সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। সুতরাং সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনারাই (আওয়ামী লীগ) গায়ের জোরে সংবিধান পরিবর্তন করেছেন। তাই জাতির প্রয়োজনে আবারও সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকার অথবা জাতীয় সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে নামেই হোক তা সংবিধানে প্রতিস্থাপন করতে হবে। বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
জুনিয়র চিকিৎসক ও বেসরকারি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, তাদের দাবী মেনে নেন। গায়ের জোরে চিকিৎসক-শিক্ষকদের দাবি অগ্রাহ্য করে তাদেরকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবেন না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই গণতন্ত্র আজ কোথায়? গণতন্ত্রে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট বাক্স ভর্তির কোনো কথা আছে? বিনা ভোটে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচন কোনো তন্ত্রে আছে?
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেন, সিলেট বিভাগের ঘরে ঘরে খেলাফতের দুর্গ গড়ে তুলুন। জনগণের ন্যায্য দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে জনগণকে সংগঠিত করুন।
সরকারের উদ্দেশ্যে খেলাফত মজলিসের ৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহের সভা সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতির বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার শামিল। সুতরাং সভা সমাবেশ করার অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করুন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হাফিজ মাওলানা নূরুজ্জামান, সৈয়দ মুহিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী ও শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল করীম। সংগঠনের সিলেট জেলা সহ সভাপতি মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মহানগর সহ সভাপতি কেএম মামুন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন ও মহানগর সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা জাবেদুল ইসলাম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বহু নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
এনইউ/এমজে