ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নগুলো হলো- দলটি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেরামতের ডিগ্রি নিয়েছে? এবং পৃথিবীর কোন দেশে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি দেওয়া হয়?
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশান-২ নগর ভবনের হল রুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় তিনি প্রশ্নগুলো করেন।
তাজুল ইসলাম আরও প্রশ্ন করেন, রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে? আমার কোন অধিকার আছে মানুষের ও যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করার?
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা অনেক বড় বড় কথা বলেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬, ২০২১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন, কি কি ম্যাজিক দেখিয়েছেন? আমাদেরকে বলেন। কী কী উন্নয়ন করেছেন আপনারা? আপনারা ক্ষমতায় গেলে দেশের মেরামত করবেন। কী কী মেরামত করার জন্য যোগ্যতা অর্জন করছেন ? কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনারা মেরামতের ডিগ্রি নিয়েছেন? দুঃশাসন কায়েম করে জনগণকে অতিষ্ঠ করতে যেমন কাউকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। তেমনি প্রাকৃতিক সমস্যা আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যে পর্যায়েই কাজ করুক না কেন জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। করোনাকে যেরকম সবাই গুরুত্ব দিয়েছিল এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এর সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল- তাতে আমরা সফল হয়েছিলাম। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ডেঙ্গুর মতো রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধেও আমাদেরকে সেরকম সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে ১২৯ টি দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সারা পৃথিবীতেই এই ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। তবে আশার কথা হলো- ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হ্রাস করা সম্ভব। সেজন্য প্রধান কাজ হচ্ছে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা। এক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে পারেন।
এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বা লার্ভা জন্মানোর মতো উপযুক্ত পরিবেশ আছে এ রকম বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস আদালতকে বড় অংকের জরিমানার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। তাজুল বলেন, নানাভাবে সতর্ক করার পরও মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলার মতো অসচেতনতাকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতামত উল্লেখ করে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস না করে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হ্রাস করার সহজ কোনো উপায় নেই। কারণ মশা এমন একটি পতঙ্গ যা যে কাউকেই কামড়াতে পারে। এ সময় তিনি ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসে বিটিআই প্যাকেটের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একেএম শফিকুর রহমান ও ডিএনসিসির সব কাউন্সিলর-কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৩
এমএমআই/এমজে