নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য মাহমুদ হোসেনের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে তার বাড়িতে গেলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৫ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ব্যাংক কলোনি এলাকায় প্রয়াত এ বিএনপি নেতার বাসায় যান রিজভী।
রিজভী বলেন, আমি এ শোকাবহ পরিবারকে সমবেদনা জানাতে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহামুদের বাসায় এসেছি। তিনি গত ২৮ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নিতে গিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তীব্র গরমে স্ট্রোক করে মারা যান।
বিএনপি নেতাকর্মীরা মানসিক চাপে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মী যেমন শারীরিক চাপে আছেন তেমন মানসিক চাপেও আছে। বাসায় বসে থাকলেও তাদের নামে মামলা হয়। পুলিশি আক্রমণ ও হানায় তারা এতটাই মানসিকভাবে ক্লান্ত যে কখন কে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় ঠিক নেই।
মাহমুদের নামে অসংখ্য মামলা। প্রতিনিয়ত তার নামে মামলা। তিনি দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। কখনও দলীয় কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতেন না। সে স্লোগান দিতে দিতে ঢাকার সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ধরনের নিবেদিত নেতাকর্মী ঘরে ঘরে আছে বলেই দল এখনও টিকে আছে।
মাহমুদ হোসেনের তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ফুয়াদ বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন, মেজ ছেলে সাঈদ অনার্স পড়ছেন ও ছোট ছেলে আবিদ হাফেজ। রিজভী আসার পর উপস্থিত ছিলেন ফুয়াদ ও সাঈদ। দুইজনকে দুপাশে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন রিজভী।
এদিকে বিএনপি নেতা মাহমুদের প্রতিবেশীরা জানান, একজন নেতা দলের জন্য স্লোগান দিতে দিতে মারা গেলেন তাকে দেখতে নাকি তারেক রহমানের নির্দেশে এসেছেন নেতারা। এসেছেন অন্তত তাদের উচিত ছিল তার (মাহমুদ) ছেলেদের কাছে ডেকে বসানো বা বসতে বলা। তাদের সঙ্গে মালিক কর্মচারীর মতো আচরণ করে দাঁড় করিয়ে রেখে নীতি কথা বলে ফিরেছেন রিজভী। বাইরে বের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গেও প্রয়াত নেতার জন্য মায়াকান্নার বক্তব্য জুড়ে দেন রিজভী।
সেখানে উপস্থিত মহানগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এটি কিছু একটি মিসটেক হয়েছে। তাদের কাছে ডেকেই কথা বলা হয়েছে। বসতে বলা হয়নি আসলে স্থান সংকুলান না হওয়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ