ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা ফাইল ফটো

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং শাহবাগ এলাকায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে শাহবাগ থানার করা এ মামলায় সরকারি কাজে বাধা, মারধর, গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আশরাফ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শাহবাগ থানাসূত্রে জানা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সেই খবরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী রাতেই বিএসএমএমইউ ও শাহবাগে ভিড় করেন। মরদেহ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে তারা পরে তাণ্ডব চালায় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যখন মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়, তখন হাজার হাজার জামায়াত-শিবির মরদেহবাহী গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তারা কোনো মতে এই মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে দেবে না। এ সময় মরদেহবাহী গাড়ির সঙ্গে থাকা পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে জামায়াত-শিবির। সঙ্গে তারা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।

এ হামলায় ডিসি রমনাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র অফিসার আহত হন। তারা পুলিশের চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য সহকারে এ তাণ্ডব সহ্য করি যে তারা একটা মরদেহ নিয়ে যেতে চাচ্ছে নিয়ে যাক। তারপরেও আমরা কোনো শক্তি প্রয়োগ করিনি। ফজরের নামাজের পরে তাদের আবারও অনুমতি দেওয়া হলো জানাজা পড়ার। কিন্তু ফজরের নামাজের পরে তারা আমাদের অফিসারদের বের করে বিএসএমএমইউ দখলে নিয়ে নিল। তারা মরদেহ পিরোজপুর নিতে দেবে না।

এর মধ্যে তারা ফেসবুকে প্রচার করতে শুরু করল সারাদেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শাহবাগে আসার জন্য। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় তাদের ওপরে আমরা অত্যন্ত সীমিত আকারে শক্তি প্রয়োগ করি। আমরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিএসএমএমইউ মুক্ত করে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির যে তাদের চরিত্রটা পাল্টায়নি, এটি তারা আবারও প্রমাণ করল। বিগত ২০১২-১৩ সালে তারা যেভাবে পুলিশকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা, হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, সে চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ তারা আবারও করল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
পিএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।