ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শোক দিবসে হাতাহাতির খবর প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিকের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
শোক দিবসে হাতাহাতির খবর প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিকের নামে মামলা

বরগুনা: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ অনুষ্ঠানে সরকার দলীয় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।  

এ সংবাদ প্রকাশ করায় ও প্রকাশিত সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় সুনাম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ এনে বরগুনার বামনায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন এক যুবলীগ নেতা।

বুধবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন বামনা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সারোয়ার। বাদী সাইফুল বামনা উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে।

অভিযুক্ত ওই দুজন সাংবাদিক হলেন- বামনা উপজেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাগরকুল এর প্রকাশক ও সম্পাদক নেছার উদ্দিন ও একই পত্রিকার সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান আশিক।

বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বামনা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাঁকন।

তবে মামলার প্রধান আসামি দৈনিক সাগরকুল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. নেসার উদ্দিন বলেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে হাতাহাতির ঘটনায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র আমার ও আমার পত্রিকার রিপোর্টারের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ১৫ আগস্টে কোনো হাতাহাতি হয়নি। অথচ এ ঘটনায় হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো সবাই দেখতে পাচ্ছে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী একজনের অভিযোগ সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে যুবলীগ সভাপতির নাম ওই অভিযোগকারীর বক্তব্যে দেওয়া হয়েছে। তবুও আমাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

মামলার বাদী যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার বলেন, যা বলার আদালতে বলবো এখন কিছুই বলা যাবে না।

মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিক মো. নেছার উদ্দিন বলেন, নিউজের তথ্য, ভিডিও চিত্র ও স্থিরচিত্র নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। পুরো ঘটনার ভিডিও সংরক্ষণে আছে। ঘটনাটি দেশের বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে আমাকে মামলার আসামি করেছে।

এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়ে আমি অবগত না। তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।