ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নেতা চাঁদের মুক্তির দাবিতে আল্টিমেটাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
বিএনপি নেতা চাঁদের মুক্তির দাবিতে আল্টিমেটাম সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু

রাজশাহী: রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে অবিলম্বে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এজন্য সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।



আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই দুই নেতার মুক্তি না দিলে পর দিন কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে রাজশাহী বিভাগে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদ ও শফিকুল হক মিলনসহ বিএনপির সব নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি।

দুপুরে রাজশাহী মহানগরের মালোপাড়ায় থাকা দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু দুই নেতার মুক্তির দাবিতে সাত দিনের এই আল্টিমেটাম দেন।  

এ সময় তিনি বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার কিছু হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেই ঢাকা থেকে আসলাম। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশের কোথাও নেই। ভারতেও নেই, সিঙ্গাপুরেও নেই। তার চিকিৎসা শুধু পৃথিবীর কয়েকটি জায়গায় আছে। কিন্তু তাকে দেশের বাইরে নিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছে। তাই তার কিছু হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।

বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার যে অবস্থা, জানি না কিছুক্ষণ পরে কী খবর পাবো। তাই এই কারণে বাংলাদেশে যা কিছু হবে তার জন্য সরকারকে দায় দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা বীরের জাতি। আমাদের কেউ হাজার হাজার বছর ধরে মাথানত করাতে পারেনি, আর পারবেও না। আমরা যে কোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে ‘উই আর রেডি’।

এ সময় দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিদেশে নেওয়ার দাবি জানান বিএনপি নেতা মিনু।

মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহীর দুই সিনিয়র নেতাকে একের পর এক মামলা দিয়ে জেলে রেখে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য অতি উৎসাহী হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা হয়রানি করছে। বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের বয়স ৭২ বছর। নেত্রীর হৃদরোগ এবং তার একটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ তার বিরুদ্ধে ১৫ জেলায় ২৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আগামী ১৬ তারিখের পরে রাজশাহীর নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিয়ে গণআন্দোলন করা হবে। যা গণবিস্ফোরণে রূপান্তরিত হবে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি রাজশাহী মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা ও জয়নাল আবেদিন শিবলী ও বিএনপি রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী বারের আইনজীবী রইস উদ্দিন, পারভেজ তৌফিক জাহেদীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।