ঢাকা: শেখ হাসিনার সরকার ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাঁধা দেওয়ার যেকোনো ষড়যন্ত্র রাজপথে থেকেই প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্বাচন পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীরা রাজপথেই থাকবেন বলেও জানান তারা।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
বিএনপি ও দলটির সহযোগীদের সরকার বিরোধী আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে জমায়েত কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবেই সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ দেশে মানুষ ৭১ এ নৌবহরের হুমকিতে ভয় পায়নি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। আগামীতেও কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। এই নির্বাচন বিএনপিকে মানতেই হবে। ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ৭১ এর ঘাতক, ৭৫ এর ঘাতকরা জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ কোনো ষড়যন্ত্রই বরদাস্ত করবে না।
সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। এই গণমানুষের দল কখনো ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় থাকেনি, ক্ষমতায় আসেনি। আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির কারণে আমাদের সজাগ-সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগকে যতই ভয় দেখাক, রক্তচক্ষু দেখিয়ে লাভ নেই। নির্বাচন বানচালের যত ষড়যন্ত্রই করেন, জনগণকে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এই বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র কিছু দিন আগে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ দেশের মানুষ আবারও সন্ত্রাসী, খুনি, সাম্প্রদায়িক, চোর, লুটপাটকারীদের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা দেবে না। ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আবারও চায়। নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র আমরা রাজপথে প্রতিহত করবো। জনগণের ম্যানডেট নিয়ে আমরা আবারও ক্ষমতায় আসবো।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ যে সব অপশক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের আমরা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবো। আমাদের জীবন থাকতে এই দেশে আমরা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হতে দেবো না। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে আমরা তাদের প্রতিহত করবো।
সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো। এর পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। তফসিল ঘোষণার পর কেউ নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা রাজপথে থেকেই তাদেরকে প্রতিহত করবো।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক সজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থকরা অংশ নেন ৷ সমাবেশস্থলে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে এবং গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, জিরো পয়েন্ট এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এসকে/এমজে