ফেনী: ফেনীতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এ কে এম শামসুদ্দিনসহ ১৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুফতি আব্দুল হান্নানকে প্রধান আসামি করে ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন জেলা জামায়াতের আমির শামছুদ্দিন, সহ দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সানা উল্লাহ নবী, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রহিম, পৌর জামায়াতের আমির মো. ইলিয়াস, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আতা উল্লাহ, শিবিরের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, আইটি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম, শিবির ফেনী শহর শাখার সভাপতি মো. ইমরান, আব্দুর রহিম মামুন, মীর হোসেন, ক্বারী আলমগীর, ফালাইয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক মানিক ও আজিজুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর কেয়ারটেকার সরকার ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমিরের মুক্তির দাবিতে ফেনীর ট্রাংক রোডে একটি মিছিল বের করে জেলা জামায়াত। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এতে ফেনীর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মামলার বাদী পলাশ চৌধুরীসহ কয়েকজন আহত হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ফেনী মডেল থানায় জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে মামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। তাদের দাবি পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিলে তারা মিছিলটি নিয়ে শহরের ভেতরের বাজারের দিকে চলে যায়। এ সময় কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছে। তারা এ মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২৩
এসএইচডি/আরআইএস