ঢাকা: বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে সরকার হটানোর চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রথম কর্মসূচি হিসেবে আগামী ৩০ অথবা ৩১ অক্টোবর সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা কিংবা ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলে বিএনপির শীর্ষপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চূড়ান্ত কর্মসূচি সফলের অংশ হিসেবে আজকের মহাসমাবেশে মূলত ধারণার অতীত লোকের সমাগম ঘটাতে চায়। মহাসমাবেশ থেকে সাংঘর্ষিক কোনো কর্মসূচিতে জড়ানোর পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে আক্রান্ত হলে পিছু না হটে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে দলের মধ্যম সারির নেতারা জানিয়েছেন।
মহাসমাবেশ থেকে কী কী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, তা চূড়ান্ত করতে কয়েকদিন ধরে স্থায়ী কমিটিসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে বিএনপির হাইকমান্ড।
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয়েছে। সাংগঠনিক কৌশলের অংশ হিসেবে আজ শনিবার সকাল নাগাদ কর্মসূচি চূড়ান্ত করে শরিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। সব দল ও জোট নিজ নিজ সমাবেশ থেকেই নতুন সেই কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
বিএনপির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মহাসমাবেশ থেকে আগামী ৩০ অথবা ৩১ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। তবে কৌশলগত কারণে সরাসরি ‘ঘেরাও’ শব্দটি ব্যবহার না করে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
আরও জানা গেছে, এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে সচিবালয় ঘেরাও ছাড়াও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন অভিমুখী ঘেরাও বা পদযাত্রার কর্মসূচি আসতে পারে।
এসব কর্মসূচিতে সরকারি দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিক্রিয়া, আচরণ কী হয়- সেটার ওপর ভিত্তি করে কর্মসূচির ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে দাবি আদায়ে টানা অবরোধের কর্মসূচিতে চলে যেতে পারে বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
টিএ/এসএএইচ