ময়মনসিংহ: আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা আব্দুর রাজ্জাক রাকিব (২৪) হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা শাওনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন আসামিদের গ্রেপ্তারের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকালে ঢাকার সাভার থানার আমিন বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত সদস্য ইয়াছনি আরাফত শাওন (৩৫), তার ভাই মাসুদ পারভেজ (৩৭), সহযোগী আনিছুর রহমান ফারুক (৩৮), মানিক (৩২), মবিন (৩৩) ও শান্ত (২০)।
এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি শাওনের নামে হত্যা, অস্ত্র ও মাদকসহ প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত সবাই রাকিব হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে দাবি করেছেন নিহতের চাচা ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক সাগর।
এ বিষয়ে ডিবির ওসি ফারুক হোসেন আরও বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার জেলার তারাকান্দা ও ফুলপুরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে আলাদা তিনটি হাইয়েজ গাড়ি নিয়ে যোগ দেন ময়মনসিংহ নগরের চরপাড়ার বাসিন্দা ও মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা শাওন পারভেজ ও তার কর্মীরা। রাতে কর্মসূচি শেষে ময়মনসিংহ নগরে ফেরার পথে চায়না মোড়ের টোল প্লাজায় পৌঁছালে সাইড দেওয়া নিয়ে এক ট্রাকচালকের সাথে তর্কে জড়ান শাওন পারভেজ ও তার কর্মীরা। একপর্যায়ে যুবলীগ নেতাকর্মীরা ট্রাকচালককে মারধর শুরু করেন। এসময় স্থানীয় বাসচালকসহ অন্যরা তাদের থামাতে গেলে যুবলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এতে আব্দুর রাজ্জাক রাকিব, সাদেক আলী, শহিদ মিয়া নামে তিনজন রক্তাক্ত জখম হন। এ অবস্থায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুজন হলেন- একই এলাকার জায়েদ উদ্দিনের ছেলে সাদেক আলী (৩২) ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঝাউগড়া এলাকার মৃত আক্তার আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (৪০)। তারা পেশায় বাসচালক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এসআই