ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বরিশাল-২ আসনে মনোনয়ন চান শেরে বাংলার নাতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
বরিশাল-২ আসনে মনোনয়ন চান শেরে বাংলার নাতি

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসন থেকে শেরে বাংলা ফজলুল হকের নাতি এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

ফাইয়াজুল হক রাজুর দাদা শেরে বাংলা ছিলেন উপমহাদেশ জুড়ে, আর বাবা এ কে ফায়জুল হক ছিলেন এ আসনের চারবারের মন্ত্রী।

তাই দলীয় মোড়কের বাইরেও রাজুর গ্রহণযোগ্যতাকে অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেছনে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা।  

সরেজমিনে ঘুরে এবং স্থানীয় প্রবীণদের সঙ্গে কথা বললে তারা শেরে বাংলার স্মৃতিচারণ করেন। বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলার মধ্যে যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল তা নিয়ে এখানের মানুষ গর্ববোধ করেন। শেরে বাংলার লাহোর প্রস্তাব থেকে বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা এখানের জনসাধারণের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে আছে। এ আসনের সাধারণ মানুষ রাজনীতির এ দুই কিংবদন্তিকে এক অভিন্ন চেতনার বাতিঘর হিসেবে ভাবেন, বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলা একে অপরের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল- তা নিয়ে তারা আজো গল্প করেন।  

পৌর আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, তৃণমূল আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ যারা হয়ত রাজনৈতিক সমীকরণ বা ভৌগোলিক কারণে হয়ত সামনে আসতে পারেন না তবে ভেতরে ভেতরে নির্মোহ রাজনীতির জন্য রাজু ভাইয়ের প্রতি মৌন সমর্থন তৈরি হয়েছে তা অকল্পনীয়। একটা দীর্ঘ সময় তিনি বানারীপাড়া-উজিরপুরের তৃণমূলকে দিয়েছেন, কোরাম করেননি, যার ফলে গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে। গণমাধ্যমে তার নিয়মিত উপস্থিতি রাজনৈতিক বিশ্লেষণের বিচক্ষণতাও তৃণমূলকে উজ্জীবিত করে।  

'একথা বলা যায় উপমহাদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও মুক্তি সংগ্রামে আমার পরিবার যুক্ত আছে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে' বলেন এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু।  

নিজের রাজনৈতিক যাত্রা নিয়ে রাজু বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। শেরে বাংলার নাতি বলে বিএনপি-জামায়াত ছেড়ে কথা বলেনি, পোহাতে হয়েছে সে যন্ত্রণা। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার সঙ্গে আছি শেরে বাংলার আদর্শিক প্রজ্ঞা নিয়ে, আর মননে রেখেছি বঙ্গবন্ধুকে।

দাদা বাবার দীর্ঘ রাজনৈতিক ভূমিকার বাইরেও বানারীপাড়া ও উজিরপুরের তৃণমূল আওয়ামী লীগে তার স্বচ্ছ রাজনীতি সমাদৃত। শেরে বাংলার নাতির প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের দলমত নির্বিশেষে এক ভিন্ন আবেগ আছে জানেন রাজু।

তিনি বলেন, কিছুটা বাড়তি চাপও থাকে। আমার কোনো কোরাম-ফোরাম নেই, এ অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি কনার সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক।

ফাইয়াজুল হক রাজুর বনানীর অফিসে উজিরপুর থেকে আসা সজীব নামে এক যুবলীগ কর্মী বলেন, রাজু ভাইকে আমাদের থেকে দূরে রাখা আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য ক্ষতি। আমরা তৃণমূল শেরে বাংলার প্রজন্মকেই চাই আমাদের নেতা হিসেবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে রাজু বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছরের যে যাত্রা তা সাংবিধানিক কাঠামোতে গেলে তখনই কেবল সবটুকু দিয়ে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন সম্ভব। আমার প্রতি মানুষের এত এত প্রত্যাশা থেকে পালানোর পথ নেই। আমার ও আমার অঞ্চলের মানুষের বিশ্বাস, দল এবার তাদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেবে।

প্রসঙ্গত, বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে ২০ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ফাইয়াজুল হক রাজুর নাম শোনা গিয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।