ঢাকা: আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচন করতে দিলে নির্বাচন পরবর্তী ইস্যুতে সারা দেশে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
তারা বলেছেন, নির্বাচনের আগেই বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথ হামলা চালাচ্ছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) অবরোধের সমর্থনে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের মানুষের সাথে আওয়ামী লীগ কাপুরোষচিত আচরণ করে চলেছে। তারা একদিকে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে নিজেদের পকেট ভারী করছে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়ভার নেই।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার জুলুমবাজ সরকার। জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগণ এখন প্রস্তুত এদের বিদায় করার জন্য।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখন শ্রী মতির পাঠশালায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তিম যাত্রা শুরু থেকে এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে। তাই দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের জন্য একটি আগাছা দলে পরিণত হয়েছে। অচিরেই আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ