হবিগঞ্জ: দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত বলে দাবি করে বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আব্দুল মজিদ খান।
আসন্ন ভোটে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পরও কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন? সে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আব্দুল মজিদ খান হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনের বর্তমান এমপি।
সম্প্রতি নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে কয়েকশ’ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, মনোনয়ন না দেওয়ায় আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে বলে ৬৩ জন এমপি মতামত দিয়েছেন। তারপরও আমি নেত্রীর প্রতি নাখোশ নই।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেই ভোট বিতর্কিত হয়েছিল। তাই নেত্রী এবার একজনকে নৌকা দিয়ে দলের আরও একজন প্রার্থীকে নির্বাচন করতে বলেছেন।
এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে নেত্রী বলেছেন, মনোনয়ন বঞ্চিত কোনো নেতা যদি মনে করেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন, নির্বাচনে যে পাস করবে, তাকেই দলে নেওয়া হবে।
বক্তব্যে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত শতকরা নয় ভোট পেয়ে পাস করার বিষয়টিও নেতিবাচকভাবে উল্লেখ করেন এমপি আব্দুল মজিদ খান।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) এমপির ২১ মিনিটের এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীরা এর সমালোচনা করেন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলী বাংলানিউজকে বলেন, আব্দুল মজিদ খানের এমন বক্তব্য দলের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
এ প্রসঙ্গে বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাস্টার বলেন, তিনি নিজেও তো এ দুই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেউ ছিলেন না, বহিরাগত লোক, বিধায় দলের প্রতি তার কোনো সম্মান নেই। এজন্য এমন মন্তব্য করছেন।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এ বক্তব্য তার ব্যক্তিগত এবং অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
এসআই