ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বরিশালে নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারি, আহত ৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
বরিশালে নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারি, আহত ৭

বরিশাল: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

এতে দুই পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি একটি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল নগরের পলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।  

ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহতদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী রাব্বি, আমিন ও আসিফ এবং নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুকের অনুসারী হালিম, রবিউল, মেহেদী ও রফিকুল রয়েছেন।  

আহতদের দাবি অনুযায়ী উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে একে অপরের ওপর হামলা চালিয়েছে।

 আর পুরো ঘটনায় আহত ও তাদের স্বজনরা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।  
সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী রাব্বি জানান, আমরা সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী।  তার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবর পেয়ে মিটিং করে বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন প্রতিপক্ষ হালিম গ্রুপের লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে অটোরিকশা করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পুনরায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটায়। এসময় তারা অটোরিকশা ভাঙচুর চালায় ও আমাদের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়।

তিনি বলেন, সাদিক ভাইয়েরর নির্বাচন করি বলেই আমাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে। তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

জাহিদ ফারুকের অনুসারী আ. হালিম বলেন, আমাদের দলীয় প্রার্থী নৌকার প্রার্থীর অফিস সন্ধ্যায় উদ্বোধন ও ওয়ার্ডের মিছিল ছিল। লোক নিয়ে সে লক্ষ্যে অফিসে যাওয়ার সময় আমাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়, পরে ফেরার পথে আবারও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের দোষ আমরা নৌকার পক্ষে নির্বাচন করছি। আমাদের মারধর ও কোপানো হয়েছে, এর বিচার আমরা চাই।

আর হামলাকারীরা নিজেদের মোটরসাইকেলে নিজেরাই আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌকার অপর সমর্থক শামীম আলম খান।  

তার দাবি, মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার সময় থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. ফজলুল করিম জানান, বর্তমানে পলাশপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় দুইপক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, ডি‌সেম্বর ১৯, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।