ঢাকা: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের সংজ্ঞা, নির্বাচনের সংজ্ঞা, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। আজকে এরা আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে ফেলছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ‘নির্বাসিত গণতন্ত্র ও বিপন্ন মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী ৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না, কোনো ভোট হচ্ছে না। ৭ তারিখে কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। বাংলাদেশের কোনো দেশপ্রেমিক ৭ তারিখে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না। এ সরকারকে আগামী ৭ তারিখ পর্যন্ত অসহযোগিতা করে আমাদের বিরাট এক জাগরণ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যাদের বিরোধী দল বানাতে চাচ্ছে, সেটা তিনি (শেখ হাসিনা) স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের পার্টি অফিসের সামনে পুলিশ দ্বারা ঘেরাও হয়ে সাংবাদিকদের সামনে বললেন, ভিক্ষার সিট নিয়ে আমি রাজনীতি করি না। দুই-তিন ঘণ্টা পর আমরা জানলাম তাদের ২৬টি আসনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২৬ সিট তাহলে কী? ওনার ভাষায় কি তাহলে এটা ভিক্ষার সিট? এটার জবাব আমাদের দিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, কৃষিমন্ত্রী বলেছেন বিএনপিকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাহলে একরাতে ২০ হাজার নেতাকর্মীকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তার মানে ভিক্ষার সিট দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল?
তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ওনাদের (আওয়ামী লীগ) জোট মিত্র, মহাজোট মিত্ররাও করতে চায় না। তারাও (জোট মিত্র) এ সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর ভরসা রাখে না। ফলে তারা আগে-ভাগে আসনের নিশ্চয়তা চেয়েছে। এমন নগ্ন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক অ্যাড. জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল আজিজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ