নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, এবারের ভোট ১৯৭০ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভোটের চেয়ে কোনো অংশে কম না। একটা ঈগল পাখি আকাশে একুশ দিন উড়তে পারে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার লালপুরে এক নির্বাচনী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশটা স্বাধীন হয়েছে। কোন বাড়িতে সুন্দরী মেয়ে ছিল পাকিস্তানিরা জানত না। এই জামায়াত এগুলো চিনিয়ে দিয়েছে। তাদের নিয়েই বিএনপি মাঠে নেমেছে। ৩০ লাখ মানুষের রক্ত দিয়ে এ দেশটা স্বাধীন করা হলো।
তিনি বলেন, একটা অদৃশ্য শক্তির সাথে লড়াই হচ্ছে। এই ভোটের পার্সেন্টেজ যদি কমে, এই একটা মহিলা শেখ হাসিনা টিকে আছে। ওরা সমুদ্র, সেন্টমার্টিন বহু কিছু চায়। আমি বলতে পারছি না... সমস্যা আছে। ভোট দিতে যান। যাকেই দেন, আমাকে দিতে হবে এমন কথা নেই। আমরা স্বাধীনতা রক্ষা করতে না পারলে এটা আমাদের জন্য লজ্জা। আমি জানি বিষয়টা কী। আমি খোলামেলা বলতে পারছি না।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আমি এ পর্যন্ত কোথাও যেয়ে বলিনি আমাকে ভোট দেন। আমি মনে করি আমি যতটুকু বুঝি আপনি তার চেয়ে কম বোঝেন না। আমি রাজনীতিতে ধান্ধা করতে আসিনি। রাজনীতিবিদরা যদি সত্যি না বলে তাহলে কথা বলা উচিত না। আর সাংবাদিকেরা যদি সত্যি লিখতে না পারে তাহলে লেখা উচিত না।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের ঘুম থেকে ওঠাতে এসেছি। একটু জাগেন। আপনি হয়তো অনেক খবর রাখছেন না। কী হচ্ছে, কী হতে যাচ্ছে। তাই আপনারা ঘুমের মধ্যে আছেন। এই ঘুমের মধ্যে কিছু একটা হচ্ছে এদেশে। তাই আমি রাস্তায় ঘুরছি। আমি জানি আমার কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তবুও আমি খাটছি কেন, আমি একটা মেসেজ দিতে চাচ্ছি।
শামীম ওসমান বলেন, আমি মনে করি সমস্যা আমার না, আপনার সমস্যা। এসব নাটক আমিও জানি, আমি নাটক করি না। আপনাদের বুঝতে হবে কোন ধরনের প্রার্থী নিবেন। আপনারা সবকিছু দেখে শুনে কেনেন। আর পাঁচ বছর আপনার ভয়েস যে পার্লামেন্টে তুলে ধরবে সেটাও আপনার দেখা উচিত। আপনি যদি ফল গাছ লাগান সেটা কী নিজে নিজে বড় হবে? যত্ন নিতে হবে। ফুলের গাছ লাগালেও যত্ন নিতে হবে। আর যদি এ জায়গাটা আপনি পাঁচ বছরের জন্য বন্ধ করে দেন। এসে কী দেখবেন, এখানে জঙ্গল হয়ে যায়। সেখানে কাঁটা গাছ থাকবে সাপ আসবে। সেখানে ঢুকলেন তখন কী হবে, হয় কাঁটার আঁচড়ে আপনার পা কাঁটবে নয়ত সাপের কামড়ে মারা যাবেন।
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, আমরা ৬৫০ কোটি টাকার শুধু রাস্তা করেছি এই এলাকায়। আরও কাজ আছে পাইপলাইনে। স্কুল করেছি, এখানে শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউট হবে। অনেকের পরিবারে আছে বিদেশে কাজ করে। সে বেতন পায় বিশ হাজার টাকা। নেপালে আরেক লোক যায় সে পায় আশি হাজার টাকা। কারণ, তার কাছে সার্টিফিকেট আছে। সেটা মাথায় রেখে আমরা টেকনিক্যাল কলেজ করছি। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় হবে, পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
এমআরপি/এমজেএফ