ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চের ধারাবাহিক প্রতিবাদী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলির কর্মসূচি ছিল। গণসংযোগ পূর্ব সমাবেশ শেষে মঞ্চের নেতৃবৃন্দ মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বান নিয়ে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।
সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে, ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে জনগণ যেখানে উৎসব করে ভোট দিতে যায়, কিন্তু তারা সামাজিক নিরাপত্তারভোগীদের কার্ড জমা রেখে দিয়ে তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে পুলিশ, প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণকে জোর করে ভোট কেন্দ্রে নিতে চায়। স্বৈরাচারের ঐতিহাসিক পরিণতির জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে লক্ষ কোটি টাকা লুট হয়েছে। সমাবেশ থেকে এসব নিয়ে সরকারের প্রতি রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করার আহ্বান জানানো হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজেটের পর থেকে অর্থমন্ত্রীর দেখা নাই। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ যে আরো বিপদে পরবে, তার অনেক নমুনা দেখা যাচ্ছে। আর এগুলোর জন্য দায়ী থাকবে বর্তমান সরকার।
অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে সব দলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের ১২৩(৩)এর (খ) অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করার আহ্বান জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। অন্যথায় দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এমজেএফ