ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘আ. লীগ ভোটের আগে পায়ে ধরে, ভোটের পর বুকে গুলি করে,

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
‘আ. লীগ ভোটের আগে পায়ে ধরে, ভোটের পর বুকে গুলি করে,

ঢাকা: ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি নির্লজ্জ ও বেহাইয়া রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনৈতিক কোনো চরিত্র নেই।

ভোটের আগে আওয়ামী লীগের নেত্রী নাকি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে, আবার ভোটের পরে মাথায় তীলক লাগায়। এরা ভোটের আগে জনগণের পায়ে ধরে, আর ভোটের পরে বুকে গুলি করে। আওয়ামী জালিম সরকার ভোটের আগে আলেমদের সালাম দেয় এবং ভোটের পরে কারাগারে পাঠায়।

বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর)  দুপুরে পেট্রোবাংলা, কারওয়ান বাজার এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অসহযোগ আনদোলন সফল করার লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ডামি নির্বাচনে কারা কারা এমপি হবে সেই তালিকা সরকার পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। শুধু ৭ তারিখ সন্ধ্যায় এমপিদের নাম ঘোষণা করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এ নির্বাচনী আয়োজন করা হয়েছে। তবে দেশের জনগণ এরই মধ্যে সরকারের ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েই জুতা, ঝাড়ু নিয়ে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। তবে শেখ হাসিনার বিদায় খুবই নিকটে। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। জনগণ চারদিকে ভোট চোর বলে শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের ভয়াবহ পতন ও রাজনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসবে।  

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতির দুর্যোগ চলছে। চারদিকে সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ও যুবকদের জীবনে চরম হাহাকার নেমে এসেছে। তাই আগামী ৭ তারিখ সর্বস্তরের জনগণ ভোট বর্জন করেছে।

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায়, এবার নৌকার নির্বাচনী প্রচারণায় জনগণ আওয়ামী লীগের গালে জুতা মারা শুরু করেছে। মনে হচ্ছে আগামী ৭ তারিখের পর জনগণই তাদেরকে ঝাড়ু ও জুতার মালা পরিয়ে দেশ ছাড়া করবে।  

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির ( কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির( কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম রনক,তমিজউদদীন টিটু, এম এ বাশার, মো. ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতী নুরুজ্জামান, মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদি, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির লায়ন উমার রাযী, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান ও হাফেজ খালেদ মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
টিএ/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।