ঢাকা: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার সকালে অসহযোগ আন্দোলনের জনমত তৈরি করতে লিফলেট বিতরণ শেষে এ আহ্বান জানান তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। এটি একতরফা নির্বাচন, অবৈধ নির্বাচন, ভাওতাবাজির নির্বাচন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণার নির্বাচন, ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করার নির্বাচন। এই ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য এবং নির্বাচন বয়কট করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে উত্তরা ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের মোড়ে স্থানীয় দোকানপাট ও সাধারণ জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, সহ অর্থনীতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মো. মোস্তফা জামান, আমান উল্লাহ আমান, হারুনুর রশিদ খোকা, আবদুস সালাম, হাজী জহিরুল ইসলাম, চান মিয়া, বিপ্লব, সোলেমান,রিপন হাসান, মতি মিয়া, ইসকান্দর, সোহেল রানা, রাতুল, আমিরুল প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ডা. মুনতাসির, আশরাফুল আসাদ-সহ অন্যান্য নেতারা।
রিজভী বলেন, বিএনপি না, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সন্ত্রাসী দল। বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে মানুষ পুড়িয়ে মারে আওয়ামী লীগের ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। কয়দিন আগে ভোলায় বোমা বানাতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী মারা গেছে। বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমাসহ হাতে নাতে ধরা পড়েছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। আর দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর।
তিনি আরও বলেন ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারাই বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায় চাপিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন আদালতকে হুকুম দিয়ে গণহারে সাজা দেওয়া হচ্ছে। আসলে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে নির্মূল করে চিরদিন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চান। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না। তিনি অবিলম্বে ডামি নির্বাচন বন্ধ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
টিএ/এফআর