ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

শাম্মীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার তাণ্ডবে মেতে উঠেছিল সন্ত্রাসীরা: পঙ্কজ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
শাম্মীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার তাণ্ডবে মেতে উঠেছিল সন্ত্রাসীরা: পঙ্কজ 

বরিশাল: বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেছেন, আমরা সুখ-শান্তি স্বস্তি চেয়েছিলাম, মাত্র সাত দিনে শাম্মী আহমেদ (কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক) এর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসীরা প্রকৃত, ত্যাগী, সৎ ও শিক্ষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার তাণ্ডবে মেতে উঠেছিল।  

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশালের হিজলা উপজেলার বাংলাবাজারে পথসভায় স্থানীয় ভোটারদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিভিন্ন ঘটনার উদহারণ টেনে পঙ্কজ নাথ বলেন, লুট, গণধর্ষণের মামলার আসামিদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে এখন শেল্টার দিচ্ছে শাম্মী আহমেদ। আর এ লোকগুলোই ২৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় আমাদের মিছিলকারীদের ওপর হামলা করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো মাঠের ভেতর প্লাকার্ড প্রবেশ আগে থেকেই নিষেধ ছিল কিন্তু সেই প্লাকার্ডের নামেই লাঠি, ইটের টুকরো, কাচের বোতল নিয়ে ওরা (শাম্মী আহমেদ এর অনুসারী) আমাদের কর্মীদের ওপর আঘাত করেছে।  

পঙ্কজ বলেন, আমার এমপি হওয়াটা বড় কথা না। জননেত্রী শেখ হাসিনা মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলায় বেড়ে ওঠা আমার মতো নগণ্য এক কর্মীকে সুযোগ দিয়েছেন, তার স্নেহ-ভালোবাসায় আমি অনেক পেয়েছি। দল এবং নেত্রী আমাকে অনেক দিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে আমি আমার ওয়াদার বরখেলাপ করিনি, আমি নেত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করিনি, বিশ্বাস ঘাতকতা করিনি।  

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নেত্রীকে রেখে পালিয়ে যাইনি। ওয়ান ইলেভেনে অনেকেই দেশ-বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, আমি শেখ হাসিনাকে একা রেখে পালিয়ে যাইনি। রক্তাক্ত হয়েছি গ্রেনেড হামলায়, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি আপনাদের দোয়ায়। ওয়ান ইলেভেন জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ১৩ বছরের সাজা নিয়ে টানা ২২ মাস জেল খেটেছি। নেত্রী দিয়েছেনও অনেক আমাকে।  

এ সময় শাম্মী আহমেদের দৈত্ব নাগরিক গোপন রাখার বিষয় উল্লেখ করে পঙ্কজ নাথ বলেন, আমি আবারও বলি নেত্রীর প্রশ্নে কোনো আপস করিনি, বিশ্বাস ঘাতকতা করিনি, প্রতারণাও করিনি। কিন্তু শাম্মী আহমেদ তুমি নেত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছো, তুমি প্রতারক।

শাম্মী আহমেদ তুমি সত্য গোপন করে মনোনয়ন জমা দিয়েছো, কিন্তু সত্য প্রকাশিত হয়েছে। তোমার কারণে আজ নেত্রী বিব্রত হয়েছে। তোমার কারণে আজ দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগ হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে, তোমার কারণে আজ হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের মানুষ অপমানিত হয়েছে।  

নিজের মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ, ঢাকা ও অষ্ট্রেলিয়া থেকে ফোন কল এলো, দাদা শাম্মী তার নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেনি, আপনি জমা দেন। কিন্তু আমি তাদের জানিয়েছিলাম আমি নির্বাচন করবো না। এরপর ২৯ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত কাটিয়েছি যে আমি নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো না। পরবর্তীতে শত শত নেতাকর্মী আমাকে যখন চেপে ধরলো, তখন বাধ্য হয়ে আমি আমার অভিভাবকের কাছে পরামর্শ চেয়েছি। দৈত্ব নাগরিকত্বের জন্য শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল হতে পারে তাকে জানিয়ে অনলাইনে আমি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি।  

আমি যদি নির্বাচনে না দাঁড়াতাম আর শাম্মী আহমেদের মনোনয়নপত্রটা যদি বাতিল হয়ে যেতো, তাহলে হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের মানুষের আজ কি হতো। অসহায়-শূন্য হয়ে থাকতো এখানকার মানুষ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এতিমের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতো। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হতো। শাম্মী আহম্মেদ তুমি মিথ্যাবাদী তুমি প্রতারক, তুমি খুনি, গডফাদার। এ শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে, আর না হলেও জনগণের আদালতে হবে, তারা তোমাকে ক্ষমা করবে না।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।