ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

দ্বিতীয় বাকশালের মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করেছে আ.লীগ: মঈন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
দ্বিতীয় বাকশালের মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করেছে আ.লীগ: মঈন

ঢাকা: বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশে দ্বিতীয় বাকশাল কায়েম করে মানুষের অধিকার হরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আয়োজনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, আমরা আন্দোলন করতে রাজপথে নেমেছি, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র আমাদের দিয়েছিলেন সেটিকে পুনরুদ্ধার করতে। আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এক প্রকার মৃত। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে দেশে দ্বিতীয় বাকশাল কায়েম করে মানুষের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। এটি হচ্ছে আজকের বাস্তবতা, আর এটাই হচ্ছে বাংলাদেশ। এর থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে জিয়াউর রহমানের আদর্শ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি দেশকে সম্মানজনক জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার জীবন দিয়েছিলেন। যেখানে আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে গণতন্ত্রের পক্ষের দল হিসেবে দাবি করে। কিন্তু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ ও বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যেসব কর্মকাণ্ড করেছে তা প্রমাণ করে- দলটি স্বাধীনতার আদর্শের বিরোধী।

আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার যেমন হরণ করেছে একইভাবে অর্থনৈতিক অধিকারও হরণ করেছে। দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা লাখ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছে; কানাডায় বেগম পাড়া করেছে, দুবাইয়ে গুলশান-থ্রি সৃষ্টি হয়েছে; মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের রক্ত পানি করা অর্থ লুট করে নিয়ে গিয়ে বিলাস বৈভবে মত্ত। আর এটাই হচ্ছে আজকের আওয়ামী লীগ।

মইন খান আরও বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের যে চেতনা তা সংসদে মাত্র ১১ মিনিটে ধ্বংস করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। ৭ নভেম্বর এ দেশের মানুষ ভালোবেসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ডেকে এনে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিল। কেননা, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখতে পারে নাই। সে আস্থা তারা জিয়াউর রহমানের ওপর রেখেছিল। আর কয়েক বছরের মধ্যে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। এই কথাগুলো বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। অন্যথায় জন্মদিনের কেক কেটে উৎসব পালন করলে কোনো লাভ হবে না।

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের বিষয়ে নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মঈন খান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছি এটা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। কারণ, বিএনপি আওয়ামী লীগের মতন লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা একটি সভ্য জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই, যে শিক্ষা জিয়াউর রহমান আমাদের দিয়েছিলেন।

জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এতে মইন খান প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা। অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল শাহ্ মো. নেছারুল হকসহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।