ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণ নয়, আ. লীগের ক্ষমতার উৎস ভারত: রিজভী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
জনগণ নয়, আ. লীগের ক্ষমতার উৎস ভারত: রিজভী 

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়—ভারতের সহযোগিতায় বিনা ভোটে তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা আবারও দখল করেছে। ভারতের প্রতিভূ হয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এক সর্বনাশা কতৃর্পক্ষে পরিণত হয়েছেন।

জনসমর্থনহীন শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের দৌরাত্মে এক উদ্ভট, দৃষ্টান্তহীন এবং নিষ্ঠুর খামখেয়ালী রাজার মতো ভারতকে খুশি করতেই ব্যস্ত রয়েছেন।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক  সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের আওতার মধ্যে ক্রমাগতভাবে ঠেলে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্ব দুর্বল করে একটি ডামি রাষ্ট্র বানানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কার্যকর করছেন তিনি। বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য তারা পুরো দেশটাকেই ডামি রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়। ক্ষমতার উৎস ভারত।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের ভোটের আশা করে না এবং বাংলাদেশের জনগণের ভোটের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস নেই। ভারত সরকারের ক্ষমতার জোরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থি।  

তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে অরাজক লুটেরা খুনি গণধিকৃত বাকশালী শাসনের পক্ষে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি বারবার বলেছেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়। বিদেশী প্রভূ। তারা দেশকে প্রতিবেশী রাস্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানিয়েছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতের গোলামি করলেও এ দেশের মানুষ ভারতের গোলামির জিঞ্জির পরিধান করবে না। ঐতিহাসিকভাবেই যেকোন ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাহসী জনগণের সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের বীরত্বগাঁথা ঐতিহ্য রয়েছে। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নাই। তবে আমাদের আপত্তি ভারতের শাসকদের পলিসি, নীতি নিয়ে। তাই দলমত নির্বিশেষে ভারতীয় এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।

আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাফিউল ইসলাম টুকলুসহ বিএসএফ কতৃর্ক সীমান্তে সব বাংলাদেশি হত্যার আবারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিহত রাফিউল ইসলাম টুকলুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবার—পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম ও ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
টিএ/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।