টাঙ্গাইল: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, আমি বিশ্বাস করেছিলাম, একটি অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২০১৮ সালের নির্বাচন গুণমান সম্পন্ন ছিল না।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ‘মিট দ্য প্রেস’ এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে কিছু মানুষ ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন কিন্তু এইবার সেই পরিমাণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় নাই, ভোট দেয় নাই, ভোট দিতে পারে নাই।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, এবার কোনো কোনো কেন্দ্রে জোড় করে ভোট নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ উৎসাহ পায়নি। আমার জীবনে রাজনৈতিক চরম ব্যর্থতা। আমরা যতটা চেষ্টা করেছিলাম, নিজেদের সমর্থকও সেই পরিমাণ ভোট কেন্দ্রে যায় নাই। নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন বলেছেন, ভোট হয়েছে ২৬ শতাংশ। কেউ বলে দেওয়ার পর বলেছেন ভোট হয়েছে ৪০ শতাংশ। প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর করা ভোটের চেয়ে ঘোষণার ভোট অনেক বেশি হয়েছে।
বর্তমান সরকারকে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনের পরের দিন থেকেই সরকার স্বস্তিতে নেই। নির্বাচনের মানুষের অংশগ্রহণ থাকলে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট হতো। তাতে সরকার অনেক স্বস্তি পেতেন। সরকারকে স্বস্তিতে থাকতে হলে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। মানুষের মালিকানা মানুষকে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এক চোরের বিচার আরেক চোরের কাছে দিয়ে কি হবে। আমার কারণে রাষ্ট্রে উত্তেজনা সৃষ্টি হোক, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হোক এটা আমি চাই না। এটা চাইনি বলে সখীপুরের নির্বাচন আমি প্রত্যাখান করি নাই। এছাড়াও আমরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নেব।
এসময় জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিপলু, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
এসএম